বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Para Athletics Championship) মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌড়ে ৫৫.০৭ সেকেন্ডে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতলেন ভারতের দীপ্তি জীবনজি (Deepthi Jeevanji)। দীপ্তি আমেরিকার ব্রায়ানা ক্লার্কের ৫৫.১২ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙেছেন, যা গতবছর তৈরি হয়েছিল। তুরস্কের অ্যাসাইল ওন্ডার ৫৫.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন, অন্যদিকে ইকুয়েডরের লিজানসেলা অ্যাঙ্গুলো ৫৬.৬৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হন।
রবিবার ৫৬.৫৬ সময় নিয়ে এশিয়ান রেকর্ড জিতেছেন দীপ্তি। ১৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে হিট রেস জিতে নেন তিনি। এই ক্যাটাগরির দৌড় প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের জন্য। যোগেশ কাঠুনিয়া পুরুষদের এফ৫৬ ডিসকাস থ্রোতে ৪১.৮০ মি. থ্রো করে পদক জিতেছেন। ভারত এখন পর্যন্ত একটি স্বর্ণ, একটি রুপো ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।
দীপ্তি জীবনজির বাবা-মাকে দীর্ঘদিন ধরে “মানসিকভাবে দুর্বল” সন্তানের জন্য গ্রামবাসীরা কটাক্ষ করে আসছেন, তবে জাপানের কোবেতে প্যারা অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্ব রেকর্ড সহ স্বর্ণপদক জয়ের পরে তারা তাদের প্রশংসায় ব্যস্ত। দীপ্তির জয়ের পর তেলেঙ্গানার কালেদা গ্রামে নিজেদের ছোট্ট বাড়ির বাইরে উৎসব করছেন বহু মানুষ।
তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলায় দিনমজুরের ঘরে জন্ম নেওয়া ২০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট সোমবার মেয়েদের ৪০০ মিটার টি-টোয়েন্টি ক্যাটাগরিতে ৫৫.০৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতেছেন। আসন্ন প্যারিস প্যারালিম্পিক্সের জন্যও যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিভাগটি এমন ক্রীড়াবিদদের জন্য যারা বৌদ্ধিকভাবে দুর্বল। দীপ্তির কোচ নাগপুরী রমেশ বলেছেন, তার বাবা-মাকে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কটূক্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। “দীপ্তির বাবা-মা দিনমজুর ছিলেন এবং তারা পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এ ছাড়া মানসিকভাবে দুর্বল মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ক্রমাগত কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাদের.”