কিক স্টার্ট নাকি সেলফ স্টার্ট? কোন ধরনের বাইক কেনা বেশি লাভজনক, জেনে রাখুন

মোটরসাইকেল কিক স্টার্ট নাকি ইলেকট্রিক স্টার্ট, তার ওপর রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নির্ভর করে। এমনটা আগে শুনেছেন? হয়তো ভাবছেন এ আর এমন কি! এই ছোট্ট একটি সিদ্ধান্তের…

মোটরসাইকেল কিক স্টার্ট নাকি ইলেকট্রিক স্টার্ট, তার ওপর রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নির্ভর করে। এমনটা আগে শুনেছেন? হয়তো ভাবছেন এ আর এমন কি! এই ছোট্ট একটি সিদ্ধান্তের উপর ভবিষ্যতে বাইক রাইডিং কতটা আরামদায়ক হবে এবং এর মেইন্টেনেন্স খরচ কেমন হবে, তা নির্ভর করে। কিক স্টার্ট বাইকের ইঞ্জিন চালু করার জন্য একটি লিভার ম্যানুয়ালি কিক করতে হয়। অন্যদিকে ইলেকট্রিক স্টার্ট বা সেল্ফ স্টার্ট বাইকে একটি বাটন পুশ করা মাত্রই ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়। তবে উভয় প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা দুইই রয়েছে।

কিক স্টার্ট বাইক

ইলেকট্রিক স্টার্ট না থাকার কারণে কিক স্টার্ট বাইকের মেইনটেনেন্স খরচ কম। এতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের পরিমাণ কম থাকে। তাই মেরামত করার ঝুটঝামেলাও কম। আবার কিক স্টার্ট বাইকের ওজন তুলনামূলক হালকা হয়। তাই এর হ্যান্ডলিং সহজ। আবার ছোট ব্যাটারি ব্যবহৃত হয় এতে।

অসুবিধার কথা বললে, যারা প্রথম বাইক শিখছেন তাঁদের জন্য কিক দিয়ে স্টার্ট করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যদি এক কিকে স্টার্ট না হয়, সে ক্ষেত্রে একাধিকবার কিক করতে হয়। ফলে চালককে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অন্য অসুবিধা হিসেবে এর কিক লিভার এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেটে যায়। যেমন স্প্রিং। যে কারণে গ্যারেজে দৌড়াতে হয়।

সেলফ স্টার্ট বাইক

সেল্ফ স্টার্ট বাইক বর্তমান দিনে অতি জনপ্রিয়। কারণ এতে কিক করার কোন ঝামেলা নেই। তাই কায়িক পরিশ্রমও কম হয়। উপরন্তু বাইকের বিভিন্ন পার্টস সহজেই উপলব্ধ। তবে, বর্ষার দিন হোক বা এমনি সময়, ইলেকট্রিক স্টার্টে জল ঢুকলেই সমস্যা দেখা দেয়। এর ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম কিক স্টার্টের তুলনায় জটিল। তাই এর মেইন্টেনেন্স খরচও বেশি।