Android স্মার্টফোন থেকে বড় বিপদের সম্ভাবনা, ভোট চুকতেই দেশের মানুষকে সতর্ক করল সরকার

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ইউজারদের মাথায় আবার বিপদের মেঘ ঘুরছে! নির্বাচনপর্ব কাটতে না কাটতেই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (MEITY)-এর সাইবার টিম Cert-In বা ইন্ডিয়ান…

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ইউজারদের মাথায় আবার বিপদের মেঘ ঘুরছে! নির্বাচনপর্ব কাটতে না কাটতেই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (MEITY)-এর সাইবার টিম Cert-In বা ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম, এইসব ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য ‘হাই-অ্যালার্ট’ বা বড় ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে – তাদের মতে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে সম্প্রতি এমন একটি দুর্বলতা দেখা গেছে, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার হলে সাবধান থাকতে অবশ্যই পুরোটা পড়ুন…

ডিভাইসে এই Android ভার্সনগুলি থাকলে বিপদ

কেন্দ্রের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ১২, অ্যান্ড্রয়েড ১২এল, অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এবং অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে বিপদের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই বিষয়ে সিইআরটি-ইন জানিয়েছে যে, ফ্রেমওয়ার্ক, সিস্টেম, গুগল প্লে সিস্টেম আপডেট, কার্নাল, আর্ম কম্পোনেন্টস, মিডিয়াটেক কম্পোনেন্টস, ইমাজিনেশন টেকনোলজি, কোয়ালকম ক্লোজড সোর্স কম্পোনেন্টে গোলযোগ ইত্যাদি কারণে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে সমস্যার মুখে পড়েছে। সমাধান হিসেবে তারা এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোন ও ট্যাবগুলি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব লেটেস্ট সিকিউরিটি প্যাচ দিয়ে আপডেট করতে বলেছে।

কেননা, সিস্টেমের ত্রুটির কারণে হ্যাকাররা সহজেই ইউজারদের ডিভাইসের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে পারে। শুধু তাই নয়, দুরাভিসন্ধিরা স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করে তা ডার্ক ওয়েবে বিক্রি বা নিজেদের অন্যান্য জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করতে পারে। উল্লেখ্য, আপনি চাইলে সফ্টওয়্যার আপডেটের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সমস্যা এড়াতে সাইবার ক্রিমিনাল টার্গেটেড সিস্টেমে ডিনায়াল অফ সার্ভিস সক্রিয় করে রাখতে পারেন।

গত সপ্তাহেও বিপদ দেখা গিয়েছিল

আপনারা হয়তো জানেননা, গত সপ্তাহেও সিইআরটি-ইন এমনই একটি ডিজিটাল থ্রেডের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। ওই সময় চেকপয়েন্ট নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি গেটওয়ে প্রোডাক্টগুলিতে ত্রুটি দেখা গিয়েছিল। তাছাড়া, গুগল ক্রোমের কিছু ডেস্কটপ ভার্সনেও সমস্যা দেখা যায়, যার সুযোগ নিয়ে দূরে বসে থাকা হ্যাকাররা ইউজারদের ডিভাইসে ইচ্ছামতো কোড এক্সিকিউট করতে পারতো।