Bike Tips: বৃষ্টির দিনে এই 5 টিপস মানলে জলকাদা রাস্তাতেও বাইকের ক্ষতি হবে না

বাংলায় না হলেও ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বর্ষার আগমন ঘটেছে। একই সাথে বাইকারদের মনে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ক্রমশ ছেয়ে যাচ্ছে। চিন্তা একটাই, এই জল-কাদায় মোটরসাইকেলের…

বাংলায় না হলেও ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বর্ষার আগমন ঘটেছে। একই সাথে বাইকারদের মনে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ক্রমশ ছেয়ে যাচ্ছে। চিন্তা একটাই, এই জল-কাদায় মোটরসাইকেলের পারফরম্যান্স কীভাবে ধরে রাখা যায়। এটি একটি চ্যালেঞ্জও বটে। তবে সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে বর্ষার তোয়াক্কা করার প্রয়োজন। অঝোর ধারায় বৃষ্টিকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাইডিংয়ে বেরিয়ে পড়া যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে বর্ষায় বাইক ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

বর্ষায় মোটরসাইকেলের রক্ষণাবেক্ষণ

লাইট চেক করুন

বর্ষায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয় রাতের রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়া। অর্থাৎ হেডলাইটের টিমটিমে আলো। তাই গাড়ির প্রতিটি লাইট পরীক্ষা করে দেখুন সেগুলি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা। এর আওতায় রয়েছে দুটি হেডলাইট বিম, ডিআরএল এবং ব্রেক লাইট।

যদি এরপরও রাতের রাস্তায় পথ চলতে অসুবিধা হয় তাহলে সাদা আলো লাগিয়ে নিন। দেখবেন দৃশ্যমানতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ৪৩০০ কেলভিনের কাছাকাছি ক্ষমতার লাইট আদর্শ বলে ধরা হয়। যদি তা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে আফটার মার্কেট ইয়োলো অক্সিলিয়ারি লাইট হতে পারে সেরা পছন্দ। কিন্তু তার আগে স্থানীয় আইনকানুন জেনে নেওয়া জরুরী।

টায়ার

বর্ষায় পথ চলার ক্ষেত্রে টায়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই সময়ে টায়ারের অবস্থা কমজোরি হলে, যে কোন সময় বিপত্তি ঘটতে পারে। ভেজা রাস্তায় বাইক চালানোর আগে চাকায় পর্যাপ্ত ট্রেড রয়েছে কিনা, তা ভালো করে দেখে নিন। প্রয়োজন হলে বদলে দিন টায়ার। এর পাশাপাশি বিয়ারিংয়ে গ্রীস লাগিয়ে নিলে বর্ষাতে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।

কিছু মোটরসাইকেলে সুপারস্পোর্টস টায়ার ব্যবহার করা হয়। এগুলি শুকনো খটখটে রাস্তায় দারুণ পারফরম্যান্স দেয়। কিন্তু ভেজা রাস্তায় নিয়ে বেরোলেই বিপদ অবশ্যম্ভাবী। বিকল্প পথ হিসেবে স্ট্রিট ফোকাস টায়ার বেছে নেওয়া যেতে পারে। এগুলি ভেজা রাস্তায় জল চ্যানেল করার পাশাপাশি ভালো গ্রিপ দেয়। আবার ডুয়েল-স্পোর্ট টায়ার রয়েছে এমন বাইকে রোড-বায়াসড টায়ার লাগিয়ে নিলে ভালো ফল মিলবে।

সমস্ত তরলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখুন

বৃষ্টির দিন আসায় গাড়িতে সমস্ত তেলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিন অয়েল, কুল্যান্ট এবং ব্রেক ফ্লুইড। যদি প্রয়োজনের তুলনায় এগুলি কমে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ সেটি ভরিয়ে নিন।

পরিষ্কার করুন

বাদল আসার আগে মোটরসাইকেলটিকে ভালোভাবে ধুইয়ে নিন। প্রয়োজন হলে ছোট ব্রাশের সাহায্য নিতে পারেন। যাতে কোনাখামচি থেকে সমস্ত ময়লা বের করে ফেলা যায়। সেরামিক কোটিং ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু এগুলির দাম একটু বেশি। এর বদলে পালিশ অথবা কোট লাগাতে পারেন। ওয়াক্স কোটিং’ও বেশ ভালো।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন