Bajaj Freedom 125: দু’চাকায় বিপ্লব! বিশ্বের প্রথম CNG বাইক লঞ্চ করে ইতিহাস লিখল বাজাজ

কর্মসূত্রে যাদের মোটরসাইকেল নিয়ে নিত্য যাতায়াত করতে হয়, মাইলেজের গুরুত্ব তাদের থেকে ভাল কেউ বুঝবে না। কিন্তু পেট্রলের যে দাম তাতে তেল ভরতে গিয়ে আমজনতার…

Bajaj-Freedom-125-Cng-Motorcycle-Launched-In-India-At-Rs-95000

কর্মসূত্রে যাদের মোটরসাইকেল নিয়ে নিত্য যাতায়াত করতে হয়, মাইলেজের গুরুত্ব তাদের থেকে ভাল কেউ বুঝবে না। কিন্তু পেট্রলের যে দাম তাতে তেল ভরতে গিয়ে আমজনতার নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা। এখন মাইলেজ যদি ভাল পাওয়া যায় আবার জ্বালানি খরচও আচমকা কমে যায় তাহলে তো পুরো সোনায় সোহাগা! আজ এই উচ্চ জ্বালানি খরচ থেকে মুক্তি দিতেই রক্ষাকর্তার ন্যায় আবির্ভূত হল বিশ্বের প্রথম সিএনজি চালিত মোটরসাইকেল বাজাজ ফ্রিডম ১২৫। অটোমোবাইলের জগতে যাকে বলা হচ্ছে যুগান্তকারী একটি পণ্য।

দাম, ভ্যারিয়েন্ট, কালার অপশন, বুকিং

শুনলে অবাক হবেন, বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ বাইকে শুধু সিএনজি নয়, পেট্রলে চালানোর ব্যবস্থাও থাকছে। এটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে এসেছে – ড্রাম, ড্রাম এলইডি, ও ডিস্ক এলইডি। ড্রাম অর্থাৎ বেস মডেলটির দাম ৯৫,০০০ টাকা৷ অন্যদিকে, ড্রাম এলইডি ও ডিস্ক এলইডি কিনতে খরচ পড়বে যথাক্রমে ১,০৫,০০০ টাকা ও ১,১০,০০০ টাকা। প্রতিটি এক্স-শোরুম প্রাইস।

পছন্দসই সাতটি রঙের মধ্যে বেছে নিতে পারবেন এই বাইক। এগুলি হল, ক্যারিবিয়ান ব্লু, পিউটার গ্রে/ব্ল্যাক, এবোনি ব্ল্যাক/গ্রে, সাইবার হোয়াইট, সাইবার হোয়াইট, রেসিং রেড, পিউটার গ্রে/ইয়েলো এবং ইবোনি ব্ল্যাক/রেড। বাজাজের ডিলারশিপ ও অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এটি বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, পেরু, ইন্দোনেশিয়া, তানজানিয়া ও ইজিপ্টে বিক্রি হবে বলেও নিশ্চিত করেছে বাজাজ।

বাই ফুয়েল ব্যবস্থা ও মাইলেজ

বাজাজ ফ্রিডমে বিশেষ বাই-ফুয়েল প্রযুক্তি রয়েছে। যা অন্য কোনও বাইকে নেই। ১৬ কেজি ওজনের সিএনজি সিলিন্ডারের সঙ্গে পেট্রল ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে এতে। ২ কেজি ক্যাপারিটির সিএনজি সিলিন্ডার সিটের নীচে অবস্থিত। আর পেট্রল ট্যাঙ্কটি ২ লিটারের। হ্যান্ডেলবারে ডানদিকে একটি সুইচ টিপে পেট্রল ও সিএনজি মোডের মধ্যে অদল-বদল করতে পারবেন আপনি।

জ্বালানি খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে আসবে বলে দাবি করেছে বাজাজ। একটি পেট্রল বাইকে যেখানে প্রতি কিলোমিটারে ২.২৫ টাকার তেল পোড়ে, সেখানে সিএনজি বাইকে একই রাস্তা যেতে ১ টাকা খরচ হবে। বাজাজ ফ্রিডম ১২৫ শুধু সিএনজি মোডে ২১৩ কিমি দৌড়তে পারবে। আর কেবল পেট্রলের সাহায্য ১১৭ কিমি৷ অর্থাৎ মোট ৩৩০ কিলোমিটার রেঞ্জ মিলবে।

ইঞ্জিন ও হার্ডওয়্যার

সিটের নীচে গ্যাস সিলিন্ডার থাকছে বলে একটা ভয়ের আশঙ্কা কাজ করতে পারে। তাই খাঁচার মতো ট্রেলিস ফ্রেমের মধ্যে সেটি রাখা হয়েছে। ক্রেতাদের সুরক্ষায় যাতে এতটুকু ফাঁক না থাকে তা নিশ্চিত করতে নিজস্ব সেফটি স্ট্যান্ডার্ড ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড মেনে ডজনের কাছাকাছি টেস্ট করিয়েছে বাজাজ। ইঞ্জিনটি ১২৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ফুয়েল ইঞ্জেকটেড। এটি ৯.৪ হর্সপাওয়ার ও ৯.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।

এই সেগমেন্টে অন্যান্য বাইকের মতো সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক বর্তমান। আর পিছনে ফার্স্ট-ইন-ক্লাস মনো লিঙ্কড টাইপ সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। অ্যালয় হুইল ১৭ ইঞ্চির৷ ফ্রন্টেই শুধু ডিস্ক ব্রেক অপশন। মাটি থেকে সিটের উচ্চতা ৮২৫ মিমি। ফ্রিডম ১২৫ সবচেয়ে বড় সিটের বাইক বলে দাবি করেছে বাজাজ৷ লম্বায় এটি ৭৮৫ মিমি।

ডিজাইন ও ফিচার্স

ডিজাইন খুব সহজ সরল রেখেছে বাজাজ। কোনও আতিশয্য ভাব নেই৷ তবে সিটি১২৫এক্স এর মতো চেহারায় বলশালী ভাব রয়েছে। মডার্ন-রেট্রো স্টাইল তরুণ থেকে মাঝবয়সী সব ধরনের ক্রেতার পছন্দ হবে। ফুয়েল ট্যাঙ্কটি ডার্ট বাইকের মতো দেখতে। বাইকের ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করার সুবিধা মিলবে।