আজ ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস,’ কিভাবে আপনার ফোনকে হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষিত রাখবেন জেনে নিন

ডিজিটাল সঞ্চার আমাদের ক্ষেত্রে এখন আগের থেকে অনেক বেশী প্রয়োজনীয়। যেহেতু আমরা এখন সবার সাথে সরাসরি দেখা করতে পারছি না তাই ডিজিটাল ব্যবস্থা এখন আমাদের…

ডিজিটাল সঞ্চার আমাদের ক্ষেত্রে এখন আগের থেকে অনেক বেশী প্রয়োজনীয়। যেহেতু আমরা এখন সবার সাথে সরাসরি দেখা করতে পারছি না তাই ডিজিটাল ব্যবস্থা এখন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি এবং প্রগতির জন্য যারা কাজ করছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য এবং তাদের কাজকে আরো উৎসাহ দেওয়ার জন্য আজ ১৭ মে পালিত হয়, ‘ বিশ্ব টেলিকমিউনিকেশন এবং ইনফরমেশন সোসাইটি দিবস ‘।

যেহেতু আজকের দিনে আমরা টেকনোলজি এবং কমিউনিকেশন এর সমস্ত কিছুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাই আমরা মোবাইল ফোনকেও দূরে সরিয়ে রাখতে পারিনা। এই ডিভাইস শুধুমাত্র কিছু তথ্য সংগ্রহ করে রাখে না বরং এই ডিভাইসের মাধ্যমে আপনারা সারা বিশ্বের সাথে যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে এটিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

কিন্তু আদতে কি এই ডিভাইসগুলি সুরক্ষিত? আপনারা হয়তো সরাসরি উত্তর দিতে পারবেন না এই প্রশ্নের, কিন্তু কিছু টিপস মেনে চললে এই ডিভাইস গুলো আপনার জন্য সুরক্ষিত থাকবে। আসুন দেখে নিই কি এই টিপসগুলি-

• স্মার্টফোনে কখনোই সহজ কোন পাসওয়ার্ড রাখবেন না। একটু কঠিন কোন পাসওয়ার্ড অথবা ফেস এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে আপনারা আপনার স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
• প্রত্যেকটা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঞ্চিত রয়েছে। আজকাল আমরা বেশ কিছু এমন থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করি যেগুলি আমাদের অত্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য সংযুক্ত করে রাখে। তাই সেই অ্যাপ্লিকেশনগুলির সিকিউরিটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
• আপনারা যদি কখনো সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস অথবা অ্যাপ্লিকেশনের ওয়েব ভার্সনে লগইন করেন এবং যদি বহু দিনের জন্য ব্যবহার না করেন সেই সার্ভিসকে তাহলে অবশ্যই সেগুলিকে লগআউট করে রাখবেন।

• আনঅফিসিয়াল অ্যাপ্লিকেশন কখনোই ব্যবহার করবেন না। কারণ সেগুলি হ্যাকারদের দ্বারা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি হয়। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনার স্মার্টফোনে বিভিন্ন ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দেয়, যার মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনের সমস্ত তথ্য তাদের হাতে পৌঁছে যায়।
• পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা মোটেও সুরক্ষিত নয়। আপনার মোবাইল ফোনের তথ্য চুরি করার জন্য হ্যাকাররা আপনি যে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড আছেন সেই একই ওয়াইফাই ব্যবহার করে। ফলে, এই ধরণের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য খুবই সহজে হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যাবে।
• সবশেষে অবশ্যই এমন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করবেন যেগুলি আপনার তথ্য এনক্রিপ্টেড রাখবে। এনক্রিপশন ছাড়া কোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা খুবই বিপদজনক। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন এই ডিজিটাল যুগে আপনার তথ্য হ্যাকারদের হাতে খুবই সহজে তুলে দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *