নতুন বছরে বিশাল চমক, তরুণ প্রজন্মের ঘুম কাড়তে আকর্ষণীয় বাইক লঞ্চ করল Royal Enfield

২০২২ সালে Hunter 350 লঞ্চ করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিল Royal Enfield। ভারতে বাজার পা রাখার দেড় বছরের মধ্যে সুপারহিটের তকমা পেয়েছে হান্টার। প্রতি মাসের বিক্রির নিরিখে…

২০২২ সালে Hunter 350 লঞ্চ করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিল Royal Enfield। ভারতে বাজার পা রাখার দেড় বছরের মধ্যে সুপারহিটের তকমা পেয়েছে হান্টার। প্রতি মাসের বিক্রির নিরিখে সংস্থার সর্বাধিক বিক্রিত বাইক Classic 350-এর একেবারে ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলে এটি। নতুন প্রজন্মের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চব্বিশ সাল শুরু হতেই হান্টারের দু’টি আকর্ষণীয় কালার অপশন লঞ্চ করেছে রয়্যাল এনফিল্ড।

Royal Enfield Hunter 350 দুই নতুন রঙে হাজির

এখন থেকে অরেঞ্জ এবং গ্রিন এই দুটি নতুন রঙের বিকল্পে কিনতে পাওয়া যাবে রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০। মাঝের ভ্যারিয়েন্ট Dapper-এ কালার স্কিম দু’টি সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন রঙের দাম শুরু হচ্ছে ১.৬৯ লাখ টাকা থেকে (এক্স-শোরুম)। সংস্থার দাবি, মাত্র এক বছরের মধ্যেই ২ লক্ষের বেশি হান্টার ৩৫০ বিক্রি হয়েছে। হান্টার ৩৫০ এর ডিজাইন রয়্যাল এনফিল্ডের অন্যান্য বাইকগুলোর তুলনায় অনেকটা আলাদা, যা বাইকটিকে বিপুল সাফল্য এনে দিতে পেরেছে।

সাধারণভাবে ক্লাসিক ৩৫০ কিংবা বুলেট ৩৫০-এর মতো অত্যাধিক ওজন না থাকার কারণে শহরের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে হালকা হান্টার চালানো বেশ সহজ কাজ। যা তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করছে। রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাসে হান্টার ৩৫০ প্রথম বাইক যেখানে ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল ব্যবহার হয়েছে। পারফরম্যান্স অবশ্য ক্লাসিক ৩৫০ কিংবা মিটিয়র ৩৫০-এর মতোই। তিনটি বাইকই J প্ল্যাটফর্মের উপর নির্মিত এবং একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এতে। যদিও বাইক অনুযায়ী ইঞ্জিনের টিউনিং ভিন্ন।

Royal Enfield, Royal Enfield Hunter 350, Royal Enfield Hunter 350 Colour, Royal Enfield Hunter 350 Engine, Royal Enfield Hunter 350 Price

Royal Enfield Hunter 350: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত, যা ৬১০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২০.১১ বিএইচপি ক্ষমতা এবং সর্বাধিক ২৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। সঙ্গে যুক্ত ট্রান্সমিশন সিস্টেমে গিয়ারের সংখ্যা পাঁচ।

Royal Enfield Hunter 350: ব্রেক ও সাসপেনশন

সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলানোর জন্য সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মনোসক অ্যাবজর্ভার বিদ্যমান। সামনের দিকের সাসপেনশন খানিকটা নরম হওয়ার কারণে রাস্তায় ঝাঁকুনি অনেকটাই সহ্য করতে পারে। পিছনের দিকের সাসপেনশন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই শক্ত। ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। সাথে রাইডারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে রয়েছে।