Mohun Bagan: অবশেষে ফাইনাল হল ডিল, ৫ বার‌ গোল্ডেন বুট জেতা‌ স্ট্রাইকারকে দলে নিল মোহনবাগান

২০২৩-২৪ মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও আসন্ন মরসুমে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সবুজ-মেরুনরা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

Jamie Maclaren Australia World Cup Playing Player Has Signed Mohun Bagan For Five Years

মোহনবাগান দলের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস এখন কলকাতা ময়দান ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে ভারতীয় ফুটবলে সবুজ-মেরুনরা সবসময় দাপট বজায় রাখতে চায়। তাই নতুন মরসুম শুরু হওয়ার আগেই এখন মোহনবাগান দল অনেকটাই নিজেদের গুছিয়ে এনেছে। তাদের সামনে রয়েছে ডুরান্ড কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এবার এর মধ্যেই আরও এক বিশ্বকাপারকে দলে সই করিয়ে এবার সবুজ-মেরুনরা রীতিমতো চমক দিল।

২০২৩-২৪ আইএসএল মরসুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট লিগ তালিকায় সেরা হলেও ফাইনালে তারা মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে হারের সম্মুখীন হয়। তবে আসন্ন মরসুমে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সবুজ-মেরুনরা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ফলে এবার তারা বিশ্বকাপের মঞ্চে লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে খেলা অস্ট্রেলিয়ান তারকা জেমি ম্যাকলারেনকে মোহনবাগান দলে সই করাল। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তিনি মাঠে নেমেছিলেন।

উল্লেখ্য এই অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগে ৫ বার গোল্ডেন বুট জিতেছেন। তিনি গত ৫ বছর মেলবোর্ন সিটির হয়ে খেলেছেন। এই ক্লাবের হয়ে ১৪২ ম্যাচে ১০৩টি গোল করার সঙ্গে সঙ্গে জেমি ম্যাকলারেন অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক ১৫৪ টি গোল করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। ফলে দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেসন কামিন্সের সঙ্গে এবার এই ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকারকে ৫ বছরের জন্য সই করিয়ে মোহনবাগান দলকে আরও শক্তিশালী করলো। ম্যাকলারেন ২৮ জুলাইয়ের মধ্যেই কলকাতায় আসবেন।

তারপর তিনি ২৯ জুলাই থেকে নতুন কোচ হোসে মোলিনার সঙ্গে প্রাক্‌-মরসুম অনুশীলন শুরু করে দেবেন। অন্যদিকে মোহনবাগানে সই করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ইয়ান হিউম যখন থেকে আইএসএলে খেলা শুরু করেছেন তখন থেকেই ভারতীয় ফুটবলের বিষয়ে খোঁজ রাখা শুরু করেছি। আমি আইএসএলের ম্যাচগুলি দেখতাম। মোহনবাগানের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং তাদের ট্রফি জয়ের ইচ্ছা আমাকে আকর্ষণ করেছে। অস্ট্রেলিয়া আমায় অনেক সন্মান দিয়েছে। এরপর দেশের বাইরের কোনো দলে খেলতে চাইছিলাম। সবুজ-মেরুন ভক্তদের ভালোবাসা এবং আবেগ আমাকে টেনে এনেছে। ভারতের খাবারও আমার খুব পছন্দের।”