Supermoon Date and Time: ২০২৪ সালের সুপারমুন কবে দেখা যাবে, সময় ও তারিখ দেখে নিন

২০২৪-এ দেখা যাবে Supermoon, কিন্তু কবে, কোথায় জানতে চান? সুপারমুন কাকে বলে জেনে নিন

Supermoon 2024 Date And Time In India

গতবছর ১৯শে আগস্ট পূর্ণিমায় পৃথিবীর আকাশে আবির্ভূত হয়েছিল ব্লু মুনের, যা একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। আর আগামী ২০৩৭ সালের আগে পৃথিবীতে আর ব্লু মুন দেখা যাবে না। তবে, ব্লু মুনের দেখা না মিললেও এই বছর দেখা মিলতে পারে সুপারমুনের। যেটি ভারত থেকে দেখা যাবে আগামী ১৯ শে আগস্ট।

সুপারমুন কি?

সুপারমুন কাকে বলে এই প্রশ্নের উত্তরে সহজে বলা যায়, আমরা যখন আকাশে চাঁদকে স্বাভাবিকের থেকে বড় এবং উজ্জ্বল দেখি, তখন তাকে আমরা সুপারমুন নামে অভিহিত করে থাকি। আসলে, পূর্ণিমার দিন নিজের কক্ষপথে ঘোরার সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে পৌঁছায়, তাই সেই সময় চাঁদকে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়। আর চলতি বছরেই এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবীবাসী।

সুপারমুন এর তারিখ ও সময়, ভারত থেকে দেখা যাবে?

১৯ আগস্ট ২০২৪-এ ভারতীয় সময় রাত ১১:৫৬ মিনিটে দেখা যাবে সুপারমুন।

স্পেস ডট কম-এর মতে গ্রহণ বিশেষজ্ঞ এবং নাসার প্রাক্তন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রেড এস্পনাক দাবি করেছেন যে, ২০২৪ সালে আগস্ট সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে মোট চারটি সুপারমুন দেখা যাবে। আর এই সুপারমুন গুলি স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি থাকবে। এছাড়াও, তিনি বলেছেন ২০২৪ সালে সব থেকে বড় সুপারমুন দেখা যাবে ১৭ই অক্টোবর বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে।

নাসার নোয়া পেট্রো স্পেস ডট কম-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, পৃথিবীর চারপাশে স্থিত চাঁদের কক্ষপথ সম্পূর্ণ গোলাকার নয়, আর এটি প্রায় ৩,৮২,৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়াও, পৃথিবী, সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহ থেকে আসা মহাকর্ষ বলের কারণে এর নিকটতম এবং দূরতম বিন্দু প্রতিমাসে পরিবর্তিত হয়। তাই মহাকর্ষ শক্তির কারণেই চাঁদের কক্ষপথ অনিয়মিত।

তিনি আরো জানিয়েছেন, একটি সুপারমুনের জন্য চাঁদকে ২৭ দিনের কক্ষপথে তার নিকটতম বিন্দুতে থাকতে হয় এবং সূর্য দ্বারা সম্পূর্ণ আলোকিত হতে হয়। তবে, এই প্রতিটি ঘটনা যেহেতু সব সময় এক সাথে ঘটা সম্ভব নয়, তাই বছরে মাত্র একবারই এই ঘটনা ঘটে থাকে। উল্লেখ্য, একটি সুপারমুন চাঁদের স্বাভাবিক আকারের থেকে ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল হয়। তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ কোনো চশমা বা অন্য কোনো সরঞ্জাম ছাড়া এই পার্থক্য বোঝা বেশ কঠিন।