পরশুদিন থেকে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ভারত মোবিলিটি এক্সপো ২০২৫-এর অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে Hero Xoom 160। এটি হিরোর প্রথম ম্যাক্সি স্কুটার এবং এই ধরনের টু-হুইলার সংস্থা আগে বাজারে আনেনি। আগে মডেলটির প্রাথমিক সংস্করণ প্রদর্শন করেছিল হিরো। এবার Xoom 160-এর প্রোডাকশন রেডি বা ফাইনাল ভার্সন আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। চলুন জেনে নিই, এই স্কুটারে কী কী রয়েছে।
ট্রু ম্যাক্সি-স্কুটার ডিজাইন
হিরো জুম ১৬০-এর ডিজাইন নজর কাড়ার মতো। এটি প্রকৃত অর্থেই ম্যাক্সি-স্কুটার স্টাইলিং। আবার ডিজাইন অ্যাডভেঞ্চার বাইক থেকে অনুপ্রাণিত। সামনের অ্যাপ্রোনে লম্বা উইন্ডস্ক্রিন, টুইন এলইডি হেডলাইট এবং ছোট ঠোঁটের মতো স্টাইলিং এলিমেন্ট এই বিষয়টি দৃশ্যমান। সেন্ট্রাল স্পাইন ও টেল সেকশন ম্যাক্সি-স্কুটারের অনুভূতি জাগায়।
নতুন ইঞ্জিন
জুম ১৬০ স্কুটারের ইঞ্জিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি হিরো। এটি একটি ১৫৬ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইউনিট হবে, যা ৮,০০০ আরপিএমে ১৪ বিএইচপি এবং ৬,৫০০ আরপিএমে ১৩.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করবে। ইঞ্জিনটি সিভিটি গিয়ারবক্সের সঙ্গে যুক্ত।
ফিচার্স কেমন
প্রিমিয়াম স্কুটারে যে সব ফিচার্স থাকে সেগুলিই এই মডেলে অফার করছে হিরো। যেমন চাবিহীন ইগনিশন, রিমোট বুট ওপেনিং, এলইডি লাইট, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সহ এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং নেভিগেশন। অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে লঞ্চের দিন বিস্তারিত জানা যাবে।
হার্ডওয়্যার ও দাম
Hero Xoom 160 আন্ডারবোন ফ্রেমের উপর নির্মিত। এতে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও টুইন শক অ্যাবজর্ভার রয়েছে। স্কুটারটি ব্লক প্যাটার্ন টায়ার সহ ১৪ ইঞ্চি চাকায় দৌড়য়। এবিএস সহ সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক আছে। মডেলটির দাম ১.৩ লক্ষ টাকা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) মধ্যে থাকবে বলে আশা করা যায়।