Hero MotoCorp ইতালির মিলান মোটরসাইকেল শো বা EICMA ইভেন্টে তাদের প্রথম ম্যাক্সি স্কুটার Xoom 160 প্রদর্শন করেছিল। সেটা ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বর। আর আজ ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৫-এর প্রথম দিনে সংস্থার ফ্ল্যাগশিপ স্কুটারটি আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়ে গেল। দুর্ধর্ষ ডিজাইন ও বিশাল চেহারা Hero Xoom 160-এর প্রধান আকর্ষণ। পাশাপাশি, দামের দিক থেকেও বেশ সাশ্রয়ী বলা চলে।
Hero Xoom 160 দাম ও ডিজাইন
হিরো জুম ১৬০ ভারতের বাজারে ১.৪৮ লক্ষ টাকায় (এক্স-শোরুম) লঞ্চ হয়েছে। দেশে স্কুটারটির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মডেল হল ইয়ামাহা এরোক্স এবং এপ্রিলিয়া এসআর১৬০। এদের দাম যথাক্রমে ১.৫০ লক্ষ ও ১.৪৬ লক্ষ টাকা। হিরো ইতিমধ্যেই স্কুটারটির বুকিং চালু করে দিয়েছে এবং ডেলিভারি ২০২৫ সালের মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে।
ডিজাইনের কথা বললে, Xoom 160 স্কুটারে লম্বা ও মসৃণ ফ্রন্ট অ্যাপ্রোন এবং স্বচ্ছ ভাইজার রয়েছে। সঙ্গে ডুয়াল-চেম্বার এলইডি হেডলাইট এবং উইন্ডস্ক্রিন অ্যাডভেঞ্চার স্টাইলের লুকস এনেছে। হিরো আজ পর্যন্ত বাজারে যে সব স্কুটার এনেছে তার মধ্যে এটাই নিঃসন্দেহে সেরা ডিজাইন। রিয়ার সিটটি পিছনের দিকে উঁচু ও টেললাইটে এলইডি লাইটিং ব্যবহার করেছে কোম্পানি।
Hero Xoom 160 ইঞ্জিন ও ফিচার্স
নতুন হিরো জুম ১৬০ স্কুটারে ১৫৬ সিসি লিকুইড কুলড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। এটি ৮,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৪ হর্সপাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৩.৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ফলে Aerox 155 ও Aprilia SR160-এর মতো শক্তিশালী ম্যাক্সি-স্কুটারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে হিরো।
এই স্কুটারে বিভিন্ন তথ্য দেখার জন্য এলসিডি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল রয়েছে যা ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি ও টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন সমর্থন করে। এছাড়াও, কীলেস অপারেশন, এলইডি ইল্যুমিনিশেন মিলবে এতে। স্কুটারের সামনে ডিস্ক ব্রেক বর্তমান। পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক আছে। সাসপেনশনের জন্য সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মনোশক ইউনিট আছে।