বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় আসায় ট্রেনের টিকিটের দাম ১০ হাজার টাকার বেশি, ভাইরাল পোস্টে সমালোচনার ঝড়

হঠাৎ কারো কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে তৎকাল টিকিট ব্যবস্থা বিশেষ কাজে আসে। তৎকাল টিকিটের দামের মধ্যে নিয়মিত ট্রেনের ভাড়া এবং অতিরিক্ত চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা মূল ভাড়ার ১০% থেকে ৩০% অতিরিক্ত হয়।

Reddit Viral Post Indian Railway Ask Rs 10000 Tatkal Ticket For Bengaluru Kolkata 2Nd Ac

ভারতীয় রেল সাধারণত সস্তায় যাতায়াতের একটি সেরা মাধ্যম হিসাবে পরিচিত, তবে এক রেডিট ব্যবহারকারীর সাম্প্রতিক পোস্ট নেটিজেনদের অবাক করেছে। ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে দেখা গেছে, কোনো এক ব্যক্তি বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা যাওয়ার প্রিমিয়াম তৎকাল টিকিট বুক করার সময় স্ট্যান্ডার্ড সেকেন্ড এসি কোচের জন্য তার কাছে ১০,১০০ টাকা চাওয়া হয়েছে।

রেডিট পোস্টে জানানো হয়েছে, এই রুটের টিকিটের দাম সাধারণত ২,৯০০ টাকা। এরপরই শেয়ার করা স্ক্রিনশটটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছে এবং অসংখ্য প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ভারতীয় রেলের সমালোচনা করে বলেছেন যে তারা ট্রেন ভ্রমণের জন্য এত বেশি ভাড়া দেওয়ার চেয়ে বরং ফ্লাইট বেছে নেবেন। কয়েকজন রেলওয়ের তৎকাল টিকিট ব্যবস্থাকে জালিয়াতির কৌশল বলে অভিহিত করেছেন।

পোস্টে বলা হয়েছে, ওই যাত্রী ৯ আগস্টের জন্য এসএমভিটি বেঙ্গালুরু জংশন এবং হাওড়া জংশনের মধ্যে একটি সুপারফাস্ট ট্রেন খুঁজছিলেন। যদিও ওয়েবসাইটে ৭টি আসন ফাঁকা আছে দেখানো হয়, কিন্তু তার দাম আকাশছোঁয়া। ওই ব্যক্তি লেখেন, ‘এই ধরনের টিকিট কারা বুক করছে? সত্যি বলতে, আমি বুঝতে পারছি না যে দুটি শহরের মধ্যে একটি সাধারণ সুপারফাস্ট ট্রেনে সেকেড এসি সিটের জন্য কে ১০ হাজার টাকার বেশি দিতে ইচ্ছুক হবে যখন সাধারণ সময় টিকিটের দাম ২,৯০০ টাকার কাছাকাছি।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ওই আসনগুলি ১০০ শতাংশ খালি যাবে। তাছাড়া ট্রেন ছাড়ার ১২০ দিন আগেও কীভাবে মাত্র ১৫-২০টি স্লিপার সিট উপলব্ধ থাকে তা আমার বোধগম্য নয়। এখানে অনিয়ম হচ্ছে।’

জানিয়ে রাখি, হঠাৎ কারো কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে তৎকাল টিকিট ব্যবস্থা বিশেষ কাজে আসে। তৎকাল টিকিটের দামের মধ্যে নিয়মিত ট্রেনের ভাড়া এবং অতিরিক্ত চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা মূল ভাড়ার ১০% থেকে ৩০% অতিরিক্ত হয়। তবে প্রিমিয়াম তৎকালের ক্ষেত্রে চাহিদার কথা মাথায় রেখে অর্থ নির্ধারণ করা হয়।