কির্লোস্কার গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট বেঁধে ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতে তাদের প্রথম গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র (R&D Facility) চালু করতে চলেছে জাপানের টয়োটা (Toyota)। দেশের মোটরগাড়ি শিল্পে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে ভারতে চুটিয়ে ব্যবসা করছে টয়োটা। এই রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট ফেসিলিটিতে গাড়ির বিকাশের জন্য নানা ক্ষেত্রে জোর দেবে সংস্থাটি।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রটি বেঙ্গালুরুতে বিদাদিতে টয়োটার উৎপাদন কারখানার কাছে অবস্থিত হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে কারখানাটি। থাইল্যান্ড এবং চীনের পরে এটি হবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টয়োটার তৃতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র। সূত্রের দাবি, প্রথমে ২০০০ কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু হবে ও পরবর্তী ২ বছরে আরও ১,০০০ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ভারতীয় বাজারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে জোর দেবে এই গবেষণা কেন্দ্রটি। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মোটরগাড়ি বাজারের চাহিদার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে সংস্থা। এই পদক্ষেপের ফলে টয়োটার গবেষণা, উন্নয়ন এবং উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে ভারত। ভবিষ্যতে, এই ফেসিলিটি মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়া-সহ একাধিক অঞ্চলে গাড়ি তৈরির উপর জোর দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সুজুকিকে অনুসরণ করছে টয়োটা। ভারতের বৃহত্তম অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারগুলির মধ্যে অন্যতম হল, রোহতকে অবস্থিত সুজুকির গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র। তাছাড়া টয়োটা এবং সুজুকির মধ্যে একটি গভীর অংশীদারিত্বও রয়েছে। তাদের মডেল আরও কাছ থেকে পড়াশোনা করবে টয়োটা। প্রসঙ্গত, দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে একাধিক গাড়িও এসেছে বাজারে। যেমন, টয়োটা আরবান ক্রুজার হাইরাইডার, মারুতি গ্র্যান্ড ভিটারা, টয়োটা ইনোভা হাইক্রস এবং মারুতি ইনভিক্টো।