এই বছর ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গল হেরে টুর্নামেন্টের বাইরে চলে গেছে। এর আগে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব অলটিন আসিরের কাছেও সামান্য ব্যবধানে হারের সম্মুখীন হয়ে লাল-হলুদ বাহিনী হতাশ করেছিল। এবার তারা এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের নতুন লড়াইয়ে মাঠে নামতে চলেছে। ২৬ অক্টোবর থেকে ভুটানে এই টুর্নামেন্টের জন্য মাঠে নামবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।
ইস্টবেঙ্গল এই বছর কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতে পুরুষদের এএফসির ক্লাব প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্তরের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। তারপর লাল-হলুদ ব্রিগেড এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু তারা আলটিন অ্যাসির বিপক্ষে ২-৩ গোলে পরাজিত হয়ে এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করে। ফলে ইস্টবেঙ্গলকে এবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে লড়াই করতে হবে। তারা এই টুর্নামেন্টের গ্ৰুপ ‘এ’-তে জায়গা করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৫ এএফসি কাপের পর এই প্রথম ইস্টবেঙ্গল একটি মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে খেলবে। সেরা ফলাফল হিসাবে ২০১৩ এএফসি কাপে লাল-হলুদরা সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। এই বছর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ইস্টবেঙ্গল লেবাননের নেজমেহ এসসি, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও ভুটানের পারো এফসির সঙ্গে গ্ৰুপ ‘এ’-তে জায়গা করে নিয়েছে।
এই গ্ৰুপে থাকা নেজমেহ ২০২৩-২৪ লেবানিস প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন। এর আগে লেবাননের এই দলটি ২০১০ সালে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু লাল-হলুদরা নেজমেহের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিতে পারেনি। প্রসঙ্গত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ ‘এ’-এর ম্যাচগুলি ভূটানে অনুষ্ঠিত হবে।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের ক্রীড়াসূচী:
২৬ অক্টোবর: ইস্টবেঙ্গল বনাম পারো
২৯ অক্টোবর: ইস্টবেঙ্গল বনাম বসুন্ধরা
১ নভেম্বর: ইস্টবেঙ্গল বনাম নেজমেহ