Xiaomi 16 সিরিজ থেকে লাইকার সাথে বন্ধুত্ব ইতি, নিজস্ব ক্যামেরা প্রযুক্তি আনছে শাওমি

গত প্রায় তিন বছর ধরে শাওমির বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে দেখা গেছে জার্মানির প্রিমিয়াম ক্যামেরা নির্মাতা Leica-র ক্যামেরা প্রযুক্তি। ২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই যৌথ উদ্যোগে চীনা ব্র্যান্ডটির একাধিক ফোনে উন্নত ক্যামেরা ফিচার পাওয়া গেছে, যার মধ্যে Xiaomi 12S Ultra ও সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া Xiaomi 15 সিরিজ অন্যতম। তবে খুব সম্ভবত এই দুই ব্র্যান্ডের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। এক চীনা টিপস্টার জানিয়েছেন, শাওমি এখন লাইকার থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেদের তৈরি ক্যামেরা টেকনোলজি-র উপর নির্ভরশীল হতে চাইছে, যার শুরুটা হবে Xiaomi 16 সিরিজ থেকে।
Xiaomi সিরিজে আর থাকবে না Leica-র ক্যামেরা প্রযুক্তি
এই খবরটি সামনে এনেছেন জনপ্রিয় টিপস্টার ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন। তিনি চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবো-তে একটি পোস্ট করে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। টিপস্টারের মতে, শাওমি আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ ফোনে এবার থেকে ইন হাউস ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। আপকামিং স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২ প্রসেসর চালিত ডিভাইসগুলিতে প্রথমবার এই নতুন ইন-হাউস ইমেজিং প্রযুক্তি দেখা যাবে। অর্থাৎ তিনি সরাসরি শাওমি ১৬ সিরিজকে বুঝিয়েছেন।
Leica ব্র্যান্ডিংয়ের খরচ বাঁচবে
এই পরিবর্তনের পিছনে কেবল প্রযুক্তিগত কারণ রয়েছে এমনটা কিন্তু নয়! আদতে শাওমি এর মাধ্যমে খরচ বাঁচাতে চাইছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি ফোনে Leica ব্র্যান্ডিং রাখতে গড়ে ৩ থেকে ৫ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫৭ টাকা থেকে ৪২৮ টাকা) পর্যন্ত খরচ হয়। নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করলে এই খরচ বাঁচাতে পারবে শাওমি।
Xiaomi 16 সিরিজে থাকতে পারে চারটি মডেল
শাওমি ১৬ সিরিজে অন্তত চারটি মডেল থাকবে বলে জানা গেছে, এগুলি হল – Xiaomi 16, 16 Pro, 16 Ultra ও 16 Ultra Max। এই চারটি মডেলেই Leica-র ক্যামেরা প্রযুক্তির পরিবর্তে শাওমির নিজস্ব প্রযুক্তি থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার অন্য দুটি ব্র্যান্ড, Redmi ও Poco-ও একই পথে হাঁটবে।
বিশেষ করে Redmi K90 Pro ও Poco F8 Ultra মডেলে নতুন ইন-হাউস ক্যামেরা টেকনোলজি ব্যবহার করা হতে পারে। টিপস্টারটির মতে, Redmi ব্র্যান্ডটি এই পরিবর্তন থেকে সবথেকে বেশি উপকৃত হতে পারে। ভবিষ্যতের রেডমি ফোনে উন্নত সেন্সর এবং আরও চমকপ্রদ ‘কম্পিউটাশনাল ফটোগ্রাফি’ ফিচার দেখা যেতে পারে।
মনে করিয়ে দিই যে, শাওমি প্রথম সংস্থা নয় যারা লাইকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এর আগে হুয়াওয়ে ২০২২ সালে তাদের ২০১৬ থেকে লাইকার সাথে চলা পার্টনারশিপ শেষ করে নিজেদের XMAGE ক্যামেরা টেকনোলজি-তে মনোনিবেশ করে। শাওমিও যদি একই পথে এগোয়, তবে বলা যায় যে, মোবাইল ফটোগ্রাফির বাজারে নিজেদের দাপট বাড়ানোর আরও এক সাহসী চেষ্টা চালাচ্ছে চীনা সংস্থাটি।