OnePlus 15 গ্লোবাল মার্কেটে লঞ্চের আগে পেল SIRIM সার্টিফিকেশন সাইট থেকে অনুমোদন

ওয়ানপ্লাস ফোনের অনুরাগীরা এই মুহূর্তে আসন্ন OnePlus 15 ডিভাইসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যেই হ্যান্ডসেটটিকে নিয়ে প্রযুক্তি মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জানা গেছে এতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট জেন ৫ প্রসেসর থাকবে। আজ আবার মালয়েশিয়ার একটি সার্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্মে এই স্মার্টফোনটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে বলা যায় যে শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বাজারে OnePlus 15 এর আগমন ঘটবে। আসুন সার্টিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম থেকে ফোনটি সম্পর্কে কি কি তথ্য উঠে এসেছে, জেনে নেওয়া যাক।
OnePlus 15 পেল SIRIM সার্টিফিকেশন
CPH2747 মডেল নম্বর সহ OnePlus 15 হ্যান্ডসেটটি আজ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ মালয়েশিয়া বা SIRIM-এর ডেটাবেসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ ফোনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আসার অনুমোদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করেছে।
উল্লেখ্য, OnePlus 13 মডেলটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে চীনে লঞ্চ হয় এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে গ্লোবাল মার্কেটে আসে। যদি একই সময়সূচী বজায় থাকে, তাহলে OnePlus 15 এবছরের শেষের দিকে চীনে লঞ্চ হতে পারে, তারপরে আগামী বছরের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
OnePlus 15 এর আগে পেয়েছে TUV SUD থেকে অনুমোদন
এই সার্টিফিকেশনের আগে ওয়ানপ্লাস ১৫ জার্মানির টিইউভি এসইউডি (TÜV SÜD) সার্টিফিকেশন সাইটের ছাড়পত্র লাভ করেছে। এতে ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করবে বলে সার্টিফিকেশন সাইটটি নিশ্চিত করেছে। ওয়ানপ্লাসের সাধারণত চার্জিং গতির ক্ষেত্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে থাকার অভ্যাস রয়েছে, তাই আসন্ন ডিভাইসে এই চার্জিং স্পিড থাকা সঙ্গতিপূর্ণ।
OnePlus 15 এর গিকবেঞ্চ রেজাল্ট
OnePlus 15 সম্প্রতি গিকবেঞ্চ (Geekbench) বেঞ্চমার্কিং প্ল্যাটফর্মে PLK110 কোড নম্বর সহ তালিকাভুক্ত হয়েছে। লিস্টিং অনুযায়ী, এই ফোনে ১৬ জিবি র্যাম এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট জেন ৫ চিপসেট থাকবে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। গিকবেঞ্চের সিঙ্গেল-কোর টেস্টে ডিভাইসটি ৩,৭০৯ এবং মাল্টি-কোর টেস্টে ১১,০০০ স্কোর করেছে।
OnePlus 15 এর ডিজাইন
ডিজাইনের ক্ষেত্রে, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলি পূর্বসূরির থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, OnePlus 15 নতুন ক্যামেরা মডিউল, আরও স্লিম বেজেল, সামান্য ছোট বডি এবং মজবুত ফ্রেমের সাথে আসবে, যা টাইটানিয়ামের চেয়েও বেশি টেকসই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্যামেরা হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড থাকবে বলে আশা করা যায়।