দুর্দান্ত ফিচার সহ লঞ্চ হল TCL 20 Pro 5G, TCL 20L, TCL 20L+ ও TCL 20S

বর্তমানে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে; ফলে প্রায় রোজই কোনো না কোনো ব্র্যান্ড এই জাতীয় হ্যান্ডসেট লঞ্চ করছে। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয় টেক কোম্পানি TCL, আজ একটি…

বর্তমানে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে; ফলে প্রায় রোজই কোনো না কোনো ব্র্যান্ড এই জাতীয় হ্যান্ডসেট লঞ্চ করছে। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয় টেক কোম্পানি TCL, আজ একটি ভার্চুয়াল লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে TCL 20 Pro 5G, TCL 20L, TCL 20L+ এবং TCL 20S নামে চারটি নতুন স্মার্টফোনের ঘোষণা করেছে। এই ফোনগুলিতে বড় ডিসপ্লে, শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট এবং ফাস্ট চার্জিংয়ের মত একাধিক আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে। আবার এগুলির দাম খুব বেশি নয়! চলুন, এক নজরে দেখে নিই এই নতুন TCL ফোনগুলির বিশেষত্ব কী এবং কত দামে বাজারে এসেছে।

TCL 20 Pro 5G, TCL 20L, TCL 20L+ এবং TCL 20S এর স্পেসিফিকেশন ও দাম

প্রথমে TCL 20 Pro 5G ফোনটির কথায় আসি। 5G কানেক্টিভিটি যুক্ত এই ফোনটিতে পাঞ্চ-হোল কাটিংযুক্ত ৬.৬৭ ইঞ্চি ফুল এইচডি+ অ্যামোলেড কার্ভড ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। পারফরম্যান্সের জন্য এতে আছে অ্যান্ড্রয়েড ১১ ওএস ও স্ন্যাপড্রাগন ৭৫০জি প্রসেসরসহ ৬ জিবি র‌্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। আবার ফটোগ্রাফির জন্য টিসিএল ২০ প্রো ৫জি ফোনে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ বর্তমান। এই ক্যামেরাগুলি হল, ওআইএসের সুবিধা সহ ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর, ১৬ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপ্থ সেন্সর। আবার সামনে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা বিদ্যমান।

শুধু তাই নয়, এই ফোনটি এসডিআর ভিডিওগুলিকে রিয়েল-টাইমে এইচডিআরে রূপান্তরিত করবে। ব্যাটারি ব্যাকআপের কথা বললে, এই ফোনটিতে ৪,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি আছে। সাথে ফাস্ট চার্জিং ও ১৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। জানিয়ে রাখি, আগ্রহীরা এই TCL ফোনটি ৫৪৯ ইউরো (প্রায় ৫০ হাজার টাকা)-র বিনিময়ে মুনডাস্ট গ্রে এবং মেরিন ব্লু কালার বিকল্পে কিনতে পারবেন, তবে আপাতত এটি যুক্তরাজ্যের বাজারেই উপলব্ধ হবে।

এদিকে, TCL 20L এবং TCL 20L+ ফোনদুটিতে TCL 20 Pro 5G-এর মতই ৬.৬৭ ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লে রয়েছে, কিন্তু এগুলিতে অ্যামোলেড ডিসপ্লের বদলে আইপিএস এলসিডি প্যানেল দেখা যাবে। তাছাড়া, এই ফোনগুলিতেও হোল-পাঞ্চ ডিসপ্লে উপলব্ধ এবং এগুলিও সমস্ত এসডিআর ভিডিওকে রিয়েল-টাইমে এইচডিআরে পরিণত করবে বলে জানা গিয়েছে। তবে নির্মাতা সংস্থার দাবি যে এই 20L মডেলদুটিতে ৯১% বেশি স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও পরিলক্ষিত হবে এবং এগুলি স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ প্রসেসরের সাহায্যে চলবে।

অন্যান্য ফিচারের কথা বললে, TCL 20L-তে ৪ জিবি র‍্যাম এবং ৬৪ জিবি বা ১২৮ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যাবে। যেখানে 20L+ ফোনটিতে ৬ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি অনবোর্ড স্টোরেজের সুবিধা থাকবে। আবার দুটি ফোনে
কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ সহ‌ এলেও, TCL 20L মডেলে ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এবং 20L+ ফোনটিতে ৬৪ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর বর্তমান। এছাড়া সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা আছে। ব্যাটারি ব্যাকআপের ক্ষেত্রে, দুটি ফোনেই ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের সাপোর্টসহ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। আবার TCL 20L ফোনে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এবং স্টেরিও স্পিকার পাওয়া যাবে, যেখানে প্লাস সংস্করণটিতে সুপার ব্লুটুথ ফিচার মিলবে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, TCL 20L বা TCL 20L+ এর দাম ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ২২৯ ইউরো (প্রায় ২১ হাজার টাকা) এবং ২৬৯ ইউরো (২৫ হাজার টাকার কাছাকাছি)।

এদিকে TCL 20S ফোনটির স্পেসিফিকেশন বা দাম সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে এটি একচেটিয়াভাবে উত্তর আমেরিকার বাজারে উপলব্ধ হবে বলে জানা গিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন