মিলছে না ছাড়পত্র, ভারতে স্মার্টফোন লঞ্চ করতে চরম সমস্যায় Xiaomi থেকে Samsung

ইতিমধ্যে আপনারা অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন যে, হালফিল সময়ে বহু নতুন স্মার্টফোনের লঞ্চের পরিকল্পনাই বিলম্বিত হয়েছে। আসলে বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতের স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য…

ইতিমধ্যে আপনারা অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন যে, হালফিল সময়ে বহু নতুন স্মার্টফোনের লঞ্চের পরিকল্পনাই বিলম্বিত হয়েছে। আসলে বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতের স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য চালাচ্ছে চীনা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তারা যাবতীয় লঞ্চ ইভেন্ট বাতিল করছে বা নতুন হ্যান্ডসেটের প্রবর্তনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিচ্ছে। সাধারণভাবে এই ঘটনার জন্য বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতির প্রাবল্যকে দায়ী করা হলেও, ভারতের বাজারে নতুন স্মার্টফোনের আগমনের বিলম্ব হওয়ার পেছনে অন্য কারণও রয়েছে বলেই দাবি করেছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট! জানা গিয়েছে, মূলত দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি জাতীয় কিছু সমস্যার জন্যই এমনটা হচ্ছে। রয়টার্সের মতে, ভারত সরকার, চীন থেকে ওয়াইফাই মডিউল আমদানির বিষয়ে অনুমোদন দিতে গত কয়েক মাস ধরেই ঢিলেমি করছে। এর ফলে প্রায় সমস্ত ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারারদের (এমনকি চীন বহির্ভূত সংস্থাদেরও) ওপর প্রভাব পড়েছে এবং Xiaomi, Oppo, Vivo-র মত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড বা Dell, HP, Lenovo জাতীয় কম্পিউটার নির্মাতারা ভারতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রোডাক্ট লঞ্চ করে উঠতে পারছেনা।

আসলে, ভারত সরকার ওয়্যারলেস প্ল্যানিং অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন বা WPC কমিশনের মাধ্যমে আমদানি ব্যবস্থা পরিচালনা করে এবং এই এজেন্সিটিই ভারতের বাজারে প্রোডাক্ট (স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ব্লুটুথ স্পিকার, ওয়্যারলেস হেডফোন, স্মার্টওয়াচের মত ডিভাইস এবং ওয়াইফাই মডিউল) বিক্রির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র প্রদান করে। এই সংস্থাটি অনেকটা ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS)-এর মতই, তবে ভারতে পণ্য বিক্রির জন্য যেকোনো সংস্থাকে WPC এবং BIS উভয়ের কাছ থেকেই ছাড়পত্র হাসিল করতে হয়।

সেক্ষেত্রে রয়টার্সের উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত বছরের নভেম্বর থেকে আমেরিকা, চীনা এবং কোরিয়ান সংস্থার প্রোডাক্ট মিলিয়ে ৮০টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন এই WPC-র সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এমনকি প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পায়নি ভারতীয় সংস্থাগুলিও। তাই সরকার কবে এদিকে দৃষ্টিপাত করবে – সেই আশাতেই সংস্থাগুলি দিন গুনছে।

উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগে গ্যালওয়ান উপত্যকাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ভারত-চীন উত্তেজনার পরেও ঠিক একই পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছিল। প্রয়োজনীয় কাস্টম ক্লিয়ারেন্স না মেলায় আটকে গেছিল বহু চীনা প্রোডাক্টের শিপিং এবং বাজারে স্মার্টফোনের জোগান একেবারে কমে গিয়েছিল। পরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এবারে জল গড়িয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না!

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন