স্মার্টফোনে চার্জিং এখন বিবর্তনের পর্যায়ে রয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন চার্জে বসিয়ে কখন সেটি ফুল-চার্জ হয়ে ব্যবহারের যোগ্য হবে, তার জন্য হা পিত্যেশ করা, উন্নত ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির দৌলতে এখন সেসব অতীত৷ গত বছর, 120W আল্ট্রা ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির ঘোষণা করে iQOO তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। পরে Oppo-ও VOOC ফ্ল্যাশ চার্জিং টেকনোলজি ও 125W UltraDart চার্জিংয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে Realme ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল। এখন, এই ধরনের যাবতীয় প্রযুক্তিকে পিছনে ফেলে Xiaomi স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে দ্রুততম ফাস্ট চার্জিং সলিউনশনের ঘোষণা করল। যার পোশাকি নাম HyperCharge (হাইপারচার্জ)। Xiaomi দাবি করেছে, তাদের নতুন ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি মাত্র 8 মিনিটের মধ্যেই কোনো ডিভাইসকে শূন্য থেকে একশো শতাংশে ফুল চার্জ করতে সক্ষম।
কাস্টম বিল্ট Mi 11 Pro স্মার্টফোন ব্যবহার করে Xiaomi পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্বের দ্রুততম ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি বা HyperCharge-এর ডেমো দেখিয়েছে। Mi 11 Pro-এর 4000mAh ব্যাটারি HyperCharge-এর মাধ্যমে 200W-এ মাত্র 3 সেকেন্ডেই 0 থেকে 50 শতাংশ চার্জ করা গেছে। Xiaomi-এর আরও দাবি, এই সুপার-ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ওয়্যারড (তারযুক্ত) চার্জিং সলিউশন ব্যবহার করে 8 মিনিটের মধ্যেই ডিভাইসটি পুরোপুরি চার্জ হয়েছে। এছাড়াও, Xiaomi-এর HyperCharge ওয়্যারলেস (তার বিহীন) ভাবে 120W-এ একটি ডিভাইস চার্জ করতে পারে। সেক্ষেত্রে 4,000mAh ব্যাটারি ফুল চার্জ করতে এটি 15 মিনিট সময় নেবে।
খবরটি পড়ে উল্লাসিত হওয়ার কারণ থাকলেও নতুন চার্জিং প্রযুক্তিটি কবে বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ হবে, সেই বিষয়ে Xiaomi একটিও শব্দ খরচ করেনি। এর আগেও চাইনিজ স্মার্টফোন জায়েন্টটি 120W ওয়্যারড এবং 80W ওয়্যারলেস চার্জিং সলিউশনের ঘোষণা করেছিল। দুঃখের বিষয়, Xiaomi-র কোনো স্মার্টফোনেই এরকম ফাস্ট চার্জিংয়ের সাপোর্ট নেই। কোম্পানির হাই-ইন্ড প্রিমিয়াম ফোন — Mi 11 Pro, Mi 11 Ultra, এবং Redmi K40 সিরিজের কয়েকটি হ্যান্ডসেটে শুধুমাত্র 67W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে।
আবার ইন্ডাস্ট্রির বেস্ট ফাস্ট চার্জিং সলিউশনের উপর থেকে পর্দা সরানোর মানে এটা নয় যে, এই 200W চার্জিং স্পিড সাপোর্ট করবে এমন প্রিমিয়াম স্মার্টফোন Xiaomi খুব শীঘ্রই লঞ্চ করবে। প্রযুক্তিটি বাণিজ্যিকভাবে লঞ্চ করার আগে অনেক বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা, থার্মাল ম্যানেজমেন্ট খুটিয়ে দেখার পর ছাড়পত্র পাওয়া এবং তারপরেই কমার্শিয়াল রিলিজ। ফলে কম করে হলেও 200W হাইপারচার্জ প্রযুক্তির কোনো স্মার্টফোন বাজারে দেখার জন্য আমাদের আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।