কারখানার নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে, খুব শীঘ্রই লঞ্চ হচ্ছে Ola ইলেকট্রিক স্কুটার

চার মাস আগেও সেখানে ছিল কেবলমাত্র ফাঁকা রুক্ষ পাথুরে জমি। কিন্তু বেঙ্গালুরু শহর থেকে ১৫০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত তামিলনাড়ুর এই বিশাল অঞ্চলে ওলা (Ola) ৫০০…

চার মাস আগেও সেখানে ছিল কেবলমাত্র ফাঁকা রুক্ষ পাথুরে জমি। কিন্তু বেঙ্গালুরু শহর থেকে ১৫০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত তামিলনাড়ুর এই বিশাল অঞ্চলে ওলা (Ola) ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণের পরই গোটা এলাকার ভোল বদলেছে। মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ওলার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়ালের স্বপ্নের ফিউচারফ্যাক্টরি (Futurefactory)। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর যা হয়ে উঠবে পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানা। গতকাল টুইট বার্তার মাধ্যমেই ভাবিশ সুখবরটা দিলেন৷ জানালেন, কারখানার প্রথম দফার (Phase 1) কাজ সমাপ্তির কাছাকাছি।

ভাবিশ টুইটারে লিখেছেন, মাত্র চার মাসের মধ্যে, ফাঁকা পাথুরে জমির এই এলাকাকে পৃথিবীর বৃহত্তম টু-হুইলার কারখানাতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কারখানার প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় সমাপ্ত৷ শীঘ্রই আসছে ওলার ই-স্কুটার লঞ্চের দিন। দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভাবিশ। ওলা ইলেকট্রিকের টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার যে লঞ্চের খুব কাছে পৌঁছে গেছে, খুব সম্প্রতি আরেকটি পোস্টে ভাবিশ তার আভাস দিয়েছিলেন। ওলা স্কুটারকে কোন রঙে ভাল মানাবে তা জানতে চেয়ে তিনি টুইট করেন। সুতরাং, বিষয়টি থেকেই স্পষ্ট, কাজ এতদূর এগিয়ে গেছে যে এখন কোন রঙ মানানসই হবে, কেবলমাত্র সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।

বাজারে আসার পর ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার যাতে নিশ্চিন্তে চালানো যায়, তার আগাম প্রস্তুতিও সংস্থাটি সেরে রাখছে। ভাবিশ আগে বলেছিলেন, ইলেকট্রিক যানবাহনের জন্য তারা চার্জিং পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে ওলা দেশজুড়ে হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক তৈরিতে মনোনিবেশ করবে। ওলার দাবি করেছিল, তারা বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক টু-হুইলার চার্জিং নেটওয়ার্ক হিসেবে একে গড়ে তুলবে, এবং হাইপারচার্জার নেটওয়ার্কের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতে চারশোটি শহরে এক লক্ষেরও বেশি চার্জিং পয়েন্ট থাকবে। এই বছরে একশোটি শহরে পাঁচ হাজার চার্জিং পয়েন্ট বসানোর মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। যার মধ্যে কয়েকশত চার্জিং পয়েন্ট বসানোর কাজ ওলার ই-স্কুটার লঞ্চের আগেই সম্পূর্ণ করা হবে।

চার্জিং স্টেশনে ওলা স্কুটারের ব্যাটারিকে ১৮ মিনিটের মধ্যেই ৫০ শতাংশ চার্জ করা সম্ভব হবে। যা ৭৫ কিমির কাছাকাছি ড্রাইভিং রেঞ্জ দেবে। এতএব, ফুল চার্জে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার ১৫০ কিমি একটানা চলতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওলার চার্জিং স্টেশন বা হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক  দু’ধরণের ফরম্যাটে আসবে; একটি হবে ভার্টিকাল টাওয়ার ভিত্তিক চার্জার‌, এবং অপরটি বিভিন্ন মল, আইটি পার্ক, অফিস কমপ্লেক্স, ক্যাফে-রেস্তোরাঁর মতো জনপ্রিয় এবং লোক সমাগমের জায়গায়
স্টান্ড এলোন চার্জার হিসেবে বসানো হবে।

প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর ওই কারখানার কাজ সম্পূর্ণ করতে ওলার প্রায় ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৪১৬ কোটি টাকার বেশি। সেখানে বছরে প্রায় ১ কোটি ই-স্কুটার তৈরি হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তবে শুধু ভারতে নয়, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও পৌঁছে যাবে ওলার মেড ইন ইন্ডিয়া ইলেকট্রিক স্কুটার!

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন