অনলাইন গেমে ‘অস্ত্র’ কিনতে মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩.২ লাখ টাকা হাপিশ করল ১২ বছরের ছেলে

করোনা মহামারির জন্য প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসের জন্য শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা। ফলে সময় কাটানোর জন্য…

করোনা মহামারির জন্য প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসের জন্য শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা। ফলে সময় কাটানোর জন্য নিছক একটি সৌখিন ডিভাইসের পরিবর্তে এখন অত্যন্ত যুক্তিসংগত কারণেই পড়ুয়ার হাতে শোভা পাচ্ছে স্মার্টফোন। এতে যেমন ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে, তেমনি আবার উলটোদিকে অনলাইন গেমের নেশা বাড়ছে। এমনিতেই অনলাইন গেমের প্রতি বাচ্চা এবং তরুণ প্রজন্মের আসক্তির কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়, উপরন্তু করোনাকালে সর্বক্ষণের জন্য হাতে একটি স্মার্টফোন পেয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ বাচ্চাদের অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তি চরমে উঠেছে। আর এর ফলে যে শুধু বাচ্চার ওপরই বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা নয়, যথেষ্ট পরিমাণ খেসারত দিতে হচ্ছে অভিভাবককেও। সম্প্রতি মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথা মর্মান্তিক ঘটনার কথা সামনে এল।

অনলাইন গেমের ‘অস্ত্র’ কিনতে গিয়ে মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩.২ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিল ১২ বছরের ছেলে। বাচ্চাটির মা ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলার এক স্কুল শিক্ষিকা। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, ছেলেটি ৮ মার্চ থেকে ১০ জুনের মধ্যে তার মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে ২৭৮ টি ট্রানজ্যাকশন করেছে। কিন্তু ভেরিফিকেশনের জন্য OTP না আসার কারণে এই লেনদেন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র টের পাননি ওই শিক্ষিকা।

পুলিশ সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৫ জুন ওই শিক্ষিকা আচমকা লক্ষ্য করেন যে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তখন তিনি সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন অনুমান করে একই দিনে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় ছুটে যান। তারপর পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করলে আসল ঘটনার কথা সামনে আসে।

এই প্রসঙ্গে ওই মহিলা তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছেলেটি জানায়, একটি অনলাইন গেমের ‘অ্যাডিশনাল ফিচার এবং ওয়েপন আপগ্রেড’ কেনার জন্য মায়ের অজান্তেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৭৮ বার আর্থিক লেনদেন করেছে সে। এই কান্ডে তার সাথে আরও দুই বন্ধুও শামিল রয়েছে। কিন্তু OTP না আসার দরুন আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি ঘূণাক্ষরেও টের না পাওয়ায় বড়ো অঙ্কের টাকা খোয়ালেন অনলাইন গেমিংয়ের প্রতি চরমভাবে আসক্ত বাচ্চাটির মা।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন