ভারতের সমস্ত 5G স্মার্টফোনে থাকতে হবে এই সুবিধা, DoT এর কাছে আবেদন Airtel এর

দেশে দ্রুত 5G নেটওয়ার্ক রোল-আউটের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলি এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী। কেন্দ্রীয় সরকার 5G স্পেকট্রাম নীলামে সায় দিলেই টেলকোগুলি 5G নেটওয়ার্ক চালুর…

দেশে দ্রুত 5G নেটওয়ার্ক রোল-আউটের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলি এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী। কেন্দ্রীয় সরকার 5G স্পেকট্রাম নীলামে সায় দিলেই টেলকোগুলি 5G নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। দেশের প্রথম সারির টেলিকম অপারেটররা ইতিমধ্যেই 5G পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রাথমিক চেষ্টায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে। ভারতী এয়ারটেল (Bharati Airtel) বা রিলায়েন্স জিও’র (Reliance Jio) মতো সংস্থার পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে যে দেশের সর্বত্র 5G পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে তারা তৈরী। শুধু এটুকুই নয়, এয়ালটেলের তরফ থেকে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন‌স বা DoT এর কাছে বিশেষ আবেদন পেশ করা হয়েছে। আগামীদিনে 5G স্মার্টফোন তৈরীর ক্ষেত্রে মোবাইল প্রস্তুতকারকদের জন্য তারা যাতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে, সে বিষয়ে এয়ারটেল, DoT -এর কাছে দরবার করেছে।

DoT এর কাছে বিশেষ আবেদন Airtel এর

5G পরিকাঠামো সম্প্রসারণের উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন‌স -কে চিঠি দিয়েছে এয়ারটেল। ভবিষ্যতে আসন্ন প্রতিটি 5G ডিভাইস যাতে ডিএসএস‌ (DSS) অর্থাৎ ডাইনামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং সাপোর্টের সঙ্গে বাজারে আসে, সেই উদ্দেশ্যেই এয়ারটেলের আলোচ্য আবেদন বলে জানা গেছে।

আসলে একথা আমরা সকলেই জানি যে বর্তমানে বছর দুয়েক পরপর আমাদের স্মার্টফোন বদলাতে হয়! তাই আগামীদিনে মোবাইল প্রস্তুতকারকেরা যাতে তাদের স্মার্টফোনে 5G -পরিষেবার পক্ষে জরুরী সমস্ত আবশ্যিক ফিচার সংযোজন করে, সেই বিষয়টি এয়ারটেল (Airtel) কর্তৃপক্ষ আলোচনায় আনতে চান। আসলে উভয় স্লটে 2G, 3G এবং 4G পরিষেবা প্রদানে সমর্থ না হলে যে কোন ডুয়াল-সিম স্মার্টফোন 5G -সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হবে। ফলে খুব সঙ্গত কারণেই এয়ারটেল DoT -এর কাছে তাদের আর্তি পেশ করেছে।

অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, 5G সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই মুহূর্তে ভারতের প্রথম সারির টেলকোগুলিকে নিম্নলিখিত ব্যান্ডউইথ সম্পন্ন স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যথা – ৭০০ মেগাহার্টজ(MHz), ৩.৫ গিগাহার্টজ(GHz) এবং ২৬ গিগাহার্টজ(GHz)। আবার 5G নেটওয়ার্ক সক্ষমতা যুক্ত সাম্প্রতিক স্মার্টফোনের বেশীরভাগই ৩.৫ গিগাহার্টজ(GHz) ব্যান্ড সাপোর্টের সঙ্গে বাজারে উপলব্ধ। সুতরাং 5G উপযোগী নতুন নতুন স্মার্টফোন তৈরীর দিকে নজর না দিলে খুব দ্রুত দেশে উপরোক্ত পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়া অসম্ভব। উল্লিখিত নয়া ডিভাইসগুলি আলাদা আলাদা ব্যান্ড সাপোর্ট যুক্ত হলে তা 5G পরিষেবার জন্য সবথেকে লাভজনক হবে। এক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন‌স নতুন নির্দেশাবলী জারি করে মোবাইল নির্মাতা কোম্পানীগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।

উল্লেখ্য মুম্বাই এবং গুরগাঁও শহরে সফলভাবে 5G পরীক্ষার পর এয়ারটেল, নোকিয়ার (Nokia) সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে 5G সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে। এছাড়া সুনীল মিত্তালের মালিকানাধীন সংস্থাটি ব্যাপকভাবে 5G রোল-আউটের স্বার্থে টাটার নতুন OpenRAN প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন