চোখের পলকে হবে ডিভাইস চার্জ, 200W HyperCharge প্রযুক্তি সহ আসছে Xiaomi ফোন

হাতের মোবাইল বা কাজের ল্যাপটপ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চার্জে বসিয়ে রাখার বিষয়টি সবারই না-পসন্দ! বর্তমান ব্যস্ত জীবনে এই চার্জিংয়ের ঝামেলা বেশ অস্বস্তিকর বিষয়ও বটে! তাই…

হাতের মোবাইল বা কাজের ল্যাপটপ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চার্জে বসিয়ে রাখার বিষয়টি সবারই না-পসন্দ! বর্তমান ব্যস্ত জীবনে এই চার্জিংয়ের ঝামেলা বেশ অস্বস্তিকর বিষয়ও বটে! তাই স্মার্টফোন নির্মাতারা এখনকার ফোনগুলিকে শক্তিশালী ব্যাটারি ও ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টের সাথে নিয়ে আসছে। সেক্ষেত্রে কয়েক মাস আগেই চীনা টেক জায়ান্ট শাওমি (Xiaomi) ২০০ ওয়াট হাইপারচার্জ প্রযুক্তি (200W HyperCharge Technology) লঞ্চ করেছিল। যদিও এখনো কোনো ডিভাইসে এই প্রযুক্তির দেখা মেলেনি। এমনকি কবে থেকে বা কোন ডিভাইসে এই প্রযুক্তি প্রথমবার ব্যবহার করা হবে – সে বিষয়েও এতদিন সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে নতুন একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, শাওমি আগামী বছরে এই ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাথে আসা চার্জারের ব্যাপক উৎপাদন (মাস প্রোডাকশন) শুরু করবে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ব্র্যান্ডের প্রিমিয়াম ফোনগুলি এই বিশেষ ফিচারসহ আসবে।

আগামী বছরের Xiaomi ফোনে থাকবে 200W HyperCharge Technology

মাইড্রাইভার্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, শাওমি ২০২২ সালের জুন মাসে এই হাইপারচার্জ প্রযুক্তির চার্জারের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা করেছ। সেক্ষেত্রে সংস্থার আগামী বছরের প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ মডেল Mi 12 Ultra (এমআই ১২ আল্ট্রা)-তে ২০০ ওয়াট হাইপারচার্জ প্রযুক্তি পরিলক্ষিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও সংস্থাটি তার এই প্রযুক্তির প্রবর্তনের সময় সম্পর্কে কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি। ফলে চোখের পলকে ডিভাইস চার্জ করার সুবিধা উপভোগ করতে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

কী এই HyperCharge Technology?

এই বছরের শুরুর দিকে শাওমি যে ২০০ ওয়াট হাইপারচার্জ প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে, তা এখনও পর্যন্ত বাজারের দ্রুততম ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি। মে মাসে একটি ডেমোর দরুন Mi 11 Pro (এমআই ১১ প্রো) স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারা পরীক্ষামূলকভাবে চার্জিং প্রযুক্তির প্রদর্শন করে, যেখানে দেখা যায়, আট মিনিটের মধ্যে ডিভাইসটির ব্যাটারি লেভেল শূন্য থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছে গেছে।

সেক্ষেত্রে বলে রাখি, এই প্রযুক্তিটি থেকে ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ থাকবে না; কারণ এটি ব্যাটারির সামগ্রিক জীবনচক্রের উপর একটি নির্দিষ্টমাত্রায় প্রভাব ফেলে। নির্মাতা সংস্থার মতে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো ডিভাইস ৮০০ বার চার্জ করা হলেও তার ব্যাটারির ক্ষমতা কমে বড়জোর ৮০ শতাংশে নেমে আসবে। অর্থাৎ ডিভাইস কেনার প্রায় তিন বছর পরেও সেটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কার্যত নতুনের মত থাকবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন