ভারতের নদ-নদী সম্পর্কে জানা যাবে, Nodi Ko Jano অ্যাপ লঞ্চ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী

ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan), গুরু পূর্ণিমা বা ব্রাস পূজার তিথি উপলক্ষ্যে ‘Nadi Ko Jano’ (নদী কো জানো) নামক একটি ভার্চুয়াল মোবাইল অ্যাপ…

ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan), গুরু পূর্ণিমা বা ব্রাস পূজার তিথি উপলক্ষ্যে ‘Nadi Ko Jano’ (নদী কো জানো) নামক একটি ভার্চুয়াল মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করলেন। শিক্ষার্থীরা যাতে ভারতের ভূ-খণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে চলা নদ-নদী গুলি সম্পর্কে নানাবিধ তথ্য লাভের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, তার জন্যই মূলত এই শিক্ষা-কেন্দ্রিক অ্যাপটিকে নিয়ে আসা হয়েছে। ডাঃ সচ্চিদানন্দ জোশী এবং ভারতীয় শিক্ষা মন্ডল দ্বারা আয়োজিত ব্রাস পূজা মহোৎসবের পবিত্র অবসরে পড়ুয়াদের জন্য নেওয়া এহেন উদ্যোগকে সত্যি সাধুবাদ জানাতে হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে জ্ঞান হস্তান্তর করার পরম্পরা ভারতে হাজার হাজার বছর ধরে চলে এসেছে। আর এই পরম্পরার মাধ্যমেই গুরু বা শিক্ষকেরা ভারতকে ক্ষমতায়িত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, ভারতীয় শিক্ষা মন্ডল এমন একটি সূত্র, যা আমাদের অতীত এবং বর্তমানকে সরাসরি ভবিষ্যতের সাথে সংযুক্ত করে থাকে।

ধর্মেন্দ্র প্রধান মহাশয় শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে পরম্পরাগত নীতির কথা উল্ল্যেখ করলেও, প্রযুক্তির অবদানকে কিন্তু নাকচ করেননি। আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য অনুযায়ী, “প্রযুক্তির কারণেই বিশ্বের অগ্রগতি হচ্ছে। তবে, এই বৈজ্ঞানিক আবিষ্করণের (Innovation) ভিত্তি হলো আমাদের মধ্যে থাকা স্ব-সচেতনতা ((self-Awareness) গুনটি।” তদুপরি, দেশের উন্নতিসাধনের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে প্রধান মহাশয় বলেছেন, “আমাদের দেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছে। ফলে নতুন শিক্ষানীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা দেশকে আরও উন্নত বানানো।”

Nadi Ko Jano মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা

নদী কো জানো বা নাদি কো জানো মোবাইল অ্যাপের মূল উদ্দেশ্য হলো, ভারতীয় ভূ-পৃষ্ঠে থাকা নদীগুলির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদি একত্রিত করা। সেক্ষেত্রে, এই অ্যাপটিতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাও নদী সংক্রান্ত যে কোনও ধরণের তথ্য আপলোড করতে পারবে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সীমানার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলির উপরে ডেটাবেস তৈরী করার এই উদ্যোগটি মূলত “পুনরুত্থান ইনোভেশনস ফাউন্ডেশন” -এর গবেষণার একটি অংশ।

Matsya Setu অ্যাপ

ভারত সরকার এরও পূর্বে, মাছ চাষীদের জন্য মৎস্য সেতু নামের একটি অ্যাপ লঞ্চ করেছিল। ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাছের সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইন সেলফ-লার্নিং মডিউলার দেওয়া হয়েছিল এই মোবাইল অ্যাপে। এছাড়া, বীজ উত্পাদন, মাছের প্রজনন এবং গ্রো-আউট বিকাশ সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্যও পাওয়া যাবে মৎস্য সেতু অ্যাপে। এরই সাথে, অ্যাপে থাকা ছোট ভিডিও-র মাধ্যমে চাষীদের, উন্নত ব্যবস্থাপনা, জলকৃষি কার্যে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তা শেখানো হয়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন