ছেলের দীর্ঘদিনের জমানো পর্ন ছবি নষ্ট করায় ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ বাবা-মা কে

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে হইচই সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে মামলায় জয়ী অথবা পরাজিত – কোন পক্ষকে সমর্থন করা উচিত তা…

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে হইচই সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে মামলায় জয়ী অথবা পরাজিত – কোন পক্ষকে সমর্থন করা উচিত তা নিয়ে নাগরিকেরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আর হবেন নাই বা কেন, একে তো মামলার কারণ অত্যন্ত বিতর্কিত, তার উপর খোদ সন্তান নিজের পিতামাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন! এক্ষেত্রে মামলাকারীর বক্তব্য কিন্তু খুবই সরল। আসলে দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয়ের মাধ্যমে ডেভিড ওয়ার্কিং নীলছবির বিপুল সংগ্রহ তৈরী করেছিলেন। অথচ অভিভাবকেরা তার অজান্তে প্রায় ২৯,০০০ ডলার মূল্যের সেই ‘সম্পদ’ সরিয়ে দেওয়ার ফলে ওয়ার্কিং অত্যন্ত রুষ্ট হন। ক্রোধের বশে তিনি বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার শাস্তি হিসেবেই ওয়ার্কিংয়ের অভিভাবকেরা এবার জরিমানার মুখে পড়লেন!

আসলে ব্যক্তিগত পরিসরে কে কি দেখছেন বা পরছেন সেটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব ব্যাপার। কোনো অনধিকারীর পক্ষেই সেখানে নাক গলানোর বা বাধা দেওয়ার উপায় নেই। এখানে প্রায় সকলেই ব্যক্তিস্বাধীনতার যুক্তি টেনে আনবেন। কেউ আবার বলবেন এটি সম্পূর্ণ তার নিজের ‘চয়েস’। তাই ৪৩ বছর বয়সী সন্তানের পর্ন কালেকশন ফেলে দেওয়ার কারণে পিতা-মাতাকে শাস্তি পেতে হবে বৈকি! এক্ষেত্রে আইন যে সহজে অভিযুক্তদের রেহাই দেবে না আমেরিকার আদালতের রায়ে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

সম্প্রতি ডিভোর্সের পরে মামলাকারী ডেভিড অভিভাবকদের সঙ্গে তার পৈতৃক বাড়িতে বাস করছিলেন। এই একাকীত্ব পূর্ণ জীবনে নীলছবি তার একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছিল! বহুদিনের সংগ্রহের দ্বারা তিনি পর্ন ভিডিও, সিনেমা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিনের এক বিপুল সম্ভার গড়ে তুলেছিলেন। অথচ তাকে অন্ধকারে রেখেই অভিভাবকেরা সেই ‘অমূল্য সংগ্রহ’ সরিয়ে ফেলেন। সদ্য বাড়ি পরিবর্তনের পর তিনি পুরো ব্যাপারটি আবিষ্কার করেন। কিন্তু ততদিনে যা হবার তা হয়ে গেছে! যে জিনিস চলে গেছে সে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না! তা না গেলেও ওয়ার্কিং ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। আর মামলায় আদালতের রায় শুনে এখন বহু অভিভাবকেরই দিশেহারা অবস্থা!

মূল্যবান সংগ্রহ নষ্টের জন্য মার্কিন আদালত ওয়ার্কিংয়ের অভিভাবকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৪,৫০০ ডলার তাদের সন্তানের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে! যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক পল ম্যালোনি এই নির্দেশ ঘোষণা করেছেন। নিজের বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন, ” এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে ডেভিডের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। অভিযুক্তেরাই যে এই কাজ করেছেন সেটাও তারা বরাবর স্বীকার করেছেন।”

শুধু কি তাই? সন্তানের বাসা বদলের পর ডেভিডের পিতা তাকে একটি ই-মেইল পাঠান। সেখানে ছেলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ” সত্যি কথা বলতে কি ডেভিড, এইসব আজেবাজে জিনিস থেকে তোমাকে মুক্তি দিয়ে আমরা একটা ভালো কাজ করেছি।” এরপর ভালো কাজের নমুনা পেয়েই ডেভিডের মাথা খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি আদালতে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন!

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

WhatsApp Follow Button

Tech Gup এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

WhatsApp Logo ফলো করুন