যাত্রী পরিবহনকারী হোক বা সরকারি গাড়ি, সব চলবে ব্যাটারিতে, আসামে ইভি পলিসির ঘোষণা

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রস্তুতকারক ও ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিতে নানা সুবিধা ও ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র৷ এর ফলে এক দিকে যেমন ক্রেতারা…

বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রস্তুতকারক ও ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিতে নানা সুবিধা ও ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র৷ এর ফলে এক দিকে যেমন ক্রেতারা বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে ঝুঁকছে, তেমনই প্রস্তুতকারকরাও উৎসাহ পাচ্ছেন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব গাড়ি তৈরিতে৷ আবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি পৃথক বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির প্রণয়ন করেছে বেশ কিছু রাজ্য৷ আগ্রহীদের কাছে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনা আরও সুবিধাজনক করে তুলতে এবার বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির ঘোষণা করল আসাম সরকার৷

আসাম সরকারের তরফে আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে দু’লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সে রাজ্যের সরকার ইতিমধ্যেই দুই, তিন এবং চার চাকার গাড়িগুলির উপর আলাদা আলাদা ভর্তুকির মাত্রার কথা উল্লেখ করে এক নির্দেশিকা জারি করেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতারা সরাসরি সেই ভর্তুকি পাবেন। এমনকি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই রাজ্যের সকল যাত্রী পরিবহনকারী ও সরকারি গাড়িগুলি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আসাম সরকার। এছাড়াও আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যে উপস্থিত মোট গাড়ির ২৫ শতাংশই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি, এমন লক্ষ্যমাত্রাই নেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের প্রথম পদক্ষেপ স্বরূপ ২০০টি বৈদ্যুতিক ও ১০০টি সিএনজি চালিত বাস চালু করতে চলেছে আসাম সরকার। রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে নিয়মিত পরিষেবা দেবে এই বাসগুলি। আগামী পাঁচ বছরে দুই লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যে এক লক্ষ হবে দু’চাকার বাইক। এছাড়াও ৭৫ হাজার তিন চাকা ও ২৫ হাজার চারচাকা গাড়ি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যসচিব (শিল্প ও বানিজ্য) কেকে দ্বিবেদী।

বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতারা দু’চাকার গাড়িতে ২০ হাজার টাকা, তিন চাকার গাড়িতে ৫০ হাজার টাকা এবং চার চাকার গাড়িতে দেড় লক্ষ টাকা ভর্তুকি পাবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সেইসব ক্রেতাদের গাড়ির নথিভুক্তিকরণ, রোড ট্যাক্স ও গাড়ি পার্কিং এর ক্ষেত্রেও মিলবে ছাড়। তবে শুধু গাড়ি প্রস্তুতের লক্ষ্যমাত্রা নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন তৈরীর বিষয়টিতেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যাঁরা রাজ্যে চার্জিং স্টেশন তৈরি করবেন, তাঁরা প্রথম পাঁচ বছর ইলেকট্রিক বিলের উপর ৯০% ছাড় পাবেন।

তবে ক্রেতাদের পাশাপাশি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির জন্য থাকছে একাধিক সুযোগ সুবিধার প্রস্তাব। সে রাজ্যে গাড়ি কারখানা প্রস্তুত করলেই মিলবে ভর্তুকি, এমনকি বৈদ্যুতিক বিল ও আয়করের উপরও ছাড় দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন