সোনা বা টাকা নয়! দিনেদুপুরে চুরি গেল ৩০,০০০ লিটার জ্বালানি তেল, দাম প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা

সোনা গয়না বা অন্য মূল্যবান কোনো জিনিসের চুরি যাওয়ার কথা আমরা হামেশাই শুনে থাকি। কিন্তু জ্বালানি তেল চুরির কথা হয়তো আমরা অতীতে খুব একটা শুনিনি।…

সোনা গয়না বা অন্য মূল্যবান কোনো জিনিসের চুরি যাওয়ার কথা আমরা হামেশাই শুনে থাকি। কিন্তু জ্বালানি তেল চুরির কথা হয়তো আমরা অতীতে খুব একটা শুনিনি। হ্যাঁ, এবার এরকমই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলো ব্রিটেন (UK)। তাও এক/দুই লিটার তেল নয়, গোটা ৩০,০০০ লিটার তেল গায়েব হয়ে গেল চলন্ত তেলের ট্যাঙ্কার থেকে। এজন্যই হয়তো জ্বালানি তেলের আরেক নাম কালো সোনা বা ‘Black Gold’। প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এরকম অপ্রীতিকর ঘটনাটিকে অতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে ব্রিটেনে তেলের ট্যাঙ্কারের জন্য চালকের অভাব, তেলের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির চালকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনা আকছার ঘটেই থাকে। কিন্তু এই আধুনিক দেশে তেল চুরি যাওয়ার ঘটনাটি সত্যি বিরল।

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ৪৩,০০০ লিটার তেল সহ একটি ট্যাঙ্কার তার গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পৌছানোর পর দেখা যায় ট্যাঙ্কারটিতে রয়েছে মাত্র ১৩,০০০ লিটার তেল। বাকি ৩০,০০০ লিটার তেল গায়েব। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে যেটুকু জানা গেছে তা হল, চলন্ত ট্রাকটি চোরেদের খপ্পরে পড়েছিল, ট্যাঙ্কারটির উপর তাদের গতিবিধিও ফুটেজে দেখা গেছে। তবে তেল বের করার জন্য তারা কোনো পাইপের ব্যবহার করেছিল বলেই অনুমান করছেন স্থানীয় তদন্তকারী অফিসাররা।

পোর্টসমাউথ (Portsmouth) এর একটি ট্রাক স্টপেজের মালিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি-কে জানিয়েছেন, গাড়ির চালক যখন লক্ষ্য করেন যে তেলের মিটারের কাঁটা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম দেখাচ্ছে তখনই বিষয়টা সর্বসমক্ষে আসে। তার কথায়, “ঘটনাটি দেখে মনে হচ্ছে কোনো পাকাপোক্ত চোরের কাজ। আমি ফুটেজটি বারবার করে দেখেই চলেছি।” এমনকি তিনি এও জানিয়েছেন, “আমাদের তেলের সরবরাহকারীদের সাথে একটা বোঝাপড়া করতে হবে, সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে যে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার তেল চুরি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ব্রিটেনে তেলের জ্বালানির চিত্রটা খারাপ থেকে অতি খারাপের দিকে গেছে। এই ঘটনার পর ফুয়েল স্টেশনগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা একটি প্রস্তাবের আশা দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এতে স্থানীয় মানুষদের দুর্দশা থেকে বিশেষ কোনো পরিত্রান মিলছে না।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন