Tata Punch: মধ্যবিত্তদের জন্য টাটা আনলো ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত গাড়ি

অবশেষে ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ ঘটলো বহু প্রতীক্ষিত গাড়ি Tata Punch-এর। দিওয়ালির আগেই এটি লঞ্চ হবে বলে অনুমান করা গিয়েছিল। সে কথা সত্যি করে আজই আনুষ্ঠানিকভাবে…

অবশেষে ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ ঘটলো বহু প্রতীক্ষিত গাড়ি Tata Punch-এর। দিওয়ালির আগেই এটি লঞ্চ হবে বলে অনুমান করা গিয়েছিল। সে কথা সত্যি করে আজই আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িটির উপর থেকে পর্দা সরানো হল। যদিও গত মাসের শেষের দিক থেকে সংস্থার নির্বাচিত কিছু ডিলার গাড়িটির প্রি-বুকিং নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন। দামের দিক দিয়ে ‘মধ্যবিত্তের গাড়ি’-র তকমা পেলেও, সুরক্ষার ক্ষেত্রে কিন্তু ভারতীয় গাড়িগুলির মধ্যে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে সংস্থার ছোট এই এসইউভি। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা গাড়িটিতে রয়েছে অসংখ্য ফিচার। আসুন Tata Punch-এর দাম ও বৈশিষ্ট্য জেনে নেওয়া যাক।

Tata Punch ফিচার ও ডিজাইন

ALFA-ARC প্লাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি (টাটা পাঞ্চ)গাড়িটিতে সহজেই প্রবেশ এবং বেরোনোর জন্য দরজাটি গাড়ির বডি প্যানেলের সাথে ৯০ ডিগ্রি কোণে খুলবে। এর ডি-কাট মাল্টিফাংশন স্টিয়ারিংটি গাড়িটিকে স্পোর্টি লুক দিয়েছে। এছাড়াও অ্যানালগ-ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ৭ ইঞ্চির ফ্লোটিং টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমটিতে অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কার-প্লে প্রযুক্তি উপলব্ধ রয়েছে। যার সাহায্যে সহজেই স্মার্টফোনটিকে কানেক্ট করে যাবতীয় কন্ট্রোল গাড়ির ডিসপ্লে স্ক্রিন থেকেই করা যাবে।

এছাড়াও iRA কানেক্টেড কার টেকনোলজি, চারটে স্পিকার ও দুটো টুইটার কমপ্রাইসিং অডিও সিস্টেম, ডুয়েল টোন কেবিন থিম, হাইট-অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট, পুষ স্টার্ট-স্টপ বটন, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, লেদার মোড়ানো স্টিয়ারিং এবং গিয়ার শিফটার, রিয়ার আর্মরেস্ট ইত্যাদি চমকপ্রদক ফিচার রয়েছে টাটা পাঞ্চ গাড়িতে। এর স্লিক প্রোজেক্টার হেডল্যাম্পটি হাই-পোজিশন এলইডি ডিআরএল-এর সাথে যুক্ত রয়েছে। সামনের বৃহৎ গ্রিলের সাথে উভয় দিকে ফগল্যাম্প রয়েছে।

টাটা পাঞ্চ লম্বায় ৩,৮২৭ এমএম, চওড়ায় ১,৭৪২ এমএম এবং উচ্চতায় ১,৬১৫ এমএম। ২,৪২৫ এমএম হুইল বেসের সাথে ১৮৭ এমএম-এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও ৩৬৬ লিটার বুট স্টোরেজের সাথে এসেছে গাড়িটি।

Tata Punch-এর রঙ

সাতটি রঙয়ের বিকল্পে বেছে নেওয়া যাবে গাড়িটি। যেগুলি হল – অ্যাটোমিক অরেঞ্জ, মেটিওর ব্রোঞ্জ, ডেটোনা গ্রে, ক্যালিপসো রেড, টর্নেডো ব্লু, ট্রপিকাল মিস্ট এবং অর্কাস হোয়াইট।

Tata Punch এর ইঞ্জিন

১.২ লিটারের রেভোট্রন পেট্রোল ইঞ্জিনটিতে ডায়না প্রো টেকনোলজি রয়েছে। টাটা পাঞ্চের ইঞ্জিনটি থেকে সর্বোচ্চ ৮৬ পিএস শক্তি এবং ১১৩ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। এছাড়াও ৫-স্পিড ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক গিয়ার বক্সের বিকল্পে বেছে নেওয়া যাবে গাড়িটি।

Tata Punch-এর নিরাপত্তা

গাড়িটি ইতিমধ্যে যে কারণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তা হল এর সুরক্ষা। গ্লোবাল NCAP দাঁড়া প্রশংসাপত্র পেয়েছে গাড়িটি। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয় যাত্রীদের ক্ষেত্রেই এর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচতারার মানপত্র। ALFA-ARC প্লাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হাওয়ায় গাড়িটির কাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে।

সুরক্ষার অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এতে রয়েছে ডুয়েল এয়ার ব্যাগ, রিভার্স পার্কিং ক্যামেরা, কর্নারিং ফাংশনের সাথে ফ্রন্ট ফগল্যাম্প, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল মোড, ৩৭০ এমএম ওয়াটার ওয়াডিং ক্যাপাবিলিটি, ইভিডি প্রযুক্তি সহ এবিএস, অটো হেডল্যাম্প, রেইন সেন্সিং ওয়াইপার, রিয়ার ডিফোগার ইত্যাদি।

Tata Punch-এর দাম ও ভ্যারিয়েন্ট

Accomplished, Adventure, Creative ও Pure – এই চারটে ভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ গাড়িটি। প্রথম তিনটি ভ্যারিয়েন্টে ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক উভয় ট্রান্সমিশনের বিকল্পে এসেছে। পিওর ভ্যারিয়েন্টটির দাম ৫.৪৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলির দাম ৮.৪৯ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) মধ্যে রাখা হয়েছে। Maruti Suzuki Ignis, Mahindra KUV100, Nissan Magnite ও Renault Kiger-এর মতো গাড়িগুলি Tata Punch-এর মূল প্রতিদ্বন্দী হতে চলেছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন