5G স্মার্টফোন কিনতে চান? এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে তবেই এগোন

বেঁচে থাকার জন্য জল বা অক্সিজেন যেমন জরুরী, তেমনই বর্তমান দিনগুলি সুষ্ঠুভাবে যাপন করার জন্য স্মার্টফোন এক গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে যে সে…

বেঁচে থাকার জন্য জল বা অক্সিজেন যেমন জরুরী, তেমনই বর্তমান দিনগুলি সুষ্ঠুভাবে যাপন করার জন্য স্মার্টফোন এক গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে যে সে ফোন নয়, চাই ভালো ক্যামেরা, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ ও শক্তিশালী প্রসেসরের ডিভাইস। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে ইউজারদের পছন্দের তালিকায় থাকছে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক অর্থাৎ 5G (৫জি) কানেক্টিভিটিযুক্ত ফোনগুলি। আসলে ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কের লভ্যতা সম্পর্কে তেমন কোনো নিশ্চয়তা না থাকলেও, স্মার্টফোন নির্মাতারা ইতিমধ্যেই বাজারে প্রচুর নতুন 5G স্মার্টফোন নিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় এখন 4G হ্যান্ডসেট কিনলে, নতুন নেটওয়ার্ক সাপোর্ট পেতে পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে আবার ফোন কিনতে হবে, এই ভেবে 5G স্মার্টফোন কিনছেন অনেকেই।

আবার 4G ফোনের মতো 5G ফোনও বিভিন্ন দামে (এন্ট্রি-লেভেল, মিড রেঞ্জ, ফ্ল্যাগশিপ বা হাই-এন্ড) বাজারে উপলব্ধ। তাই অনেকেই পরবর্তী প্রজন্মের ফোন কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে আপনিও যদি এই মুহূর্তে 5G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট যুক্ত কোনো ফোন কিনতে চান, তবে দাঁড়ান! কারণ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যার ফলে বর্তমানে আপনার 5G ফোন কেনার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হবে না। আসুন বিস্তারিতভাবে কারণগুলি জেনে নিই…

আগামী ২ বছরে 5G নেটওয়ার্ক ধরাছোঁয়ায় নাও আসতে পারে

এই মুহূর্তে আপনি যদি শুধুমাত্র 5G কানেক্টিভিটির জন্য স্মার্টফোন আপগ্রেড করতে চান তবে এই সিদ্ধান্ত খুব একটা লাভজনক হবে না। কারণ প্রথমত ভারতে বর্তমানে ৫জি নেটওয়ার্ক লাইভ নেই। আর আপনি যদি মেট্রো শহরে বসবাস না করেন, তাহলে আপনার আগামী দুই বছরে এই পরিষেবা পাওয়ার আশা করা উচিত নয়।

5G-র খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হবে

আবার ৫জি উপলব্ধ হলেও তার পরিষেবা বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে, যার ফলে সাথে সাথেই এর অ্যাক্সেস পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে এই নেটওয়ার্ক লঞ্চ হলে, সহজলভ্যতার কারণে ডিভাইসগুলির দাম এখনকার তুলনায় খানিকটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।