Greaves Electric Mobility: ভারতে বৈদ্যুতিক বাইক ও স্কুটারের চাহিদা বাড়ছে, ৮৫ শতাংশ ব্যবসা বেড়েছে এই সংস্থার

দেশে ক্রমশই বেড়ে চলা জ্বালানি তেলের দাম চোকাতে পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তদের। ফলে অনেকেই জৈব জ্বালানি চালিত যানবাহনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এই সুযোগে নিজেদের…

দেশে ক্রমশই বেড়ে চলা জ্বালানি তেলের দাম চোকাতে পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তদের। ফলে অনেকেই জৈব জ্বালানি চালিত যানবাহনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এই সুযোগে নিজেদের ব্যবসা বাড়াচ্ছে বৈদ্যুতিক অটোমোবাইল সংস্থাগুলি। এবার ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্রীভস ইলেকট্রিক মোবিলিটি (Greaves Electric Mobility) নিজেদের মুনাফা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮৫% ব্যবসা বাড়ার কথা জানিয়েছে দেশের বহু পুরানো গ্রীভস কটন লিমিটেড (Greaves Cotton Limited) এর শাখা সংস্থাটি।

২৫ অক্টোবর, ২০২১ পর্যন্ত মোট ৫,০০০ ইউনিট ইলেকট্রিক টু-হুইলার ও থ্রি-হুইলার বিক্রি করেছে গ্রীভস ইলেকট্রিক এবং চলতি উৎসবের মরসুমে বিক্রির সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই আশাবাদী সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই তারা ফেস্টিভ অফারের সাথে সহজ ফাইন্যান্সিং সলিউশনের সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে গ্রাহকদের। এই প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও রয় কুরিয়ান (Roy Kurian) জানিয়েছেন, “অক্টোবর মাসে আমরা এখনো পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক প্রোডাক্ট বিক্রি করেছি।” তিনি আরো বলেছেন, “ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সংস্থার প্রধান হিসাবে আমরা স্বীকার করছি যে ক্রেতাদের সাথে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।”

সম্প্রতি গ্রীভস ইলেকট্রিক মোবিলিটি, গ্রীভস ফাইন্যান্স (Greaves Finance), এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক (HDFC Bank), ক্রেডিট ফেয়ার (Credit Fair), শ্রীরাম (Shriram), পেটেইল (Paytail) এবং এসবিআই (SBI,) সংস্থাগুলির সাথে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এতে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের গতিশীলতা বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। কয়েকদিন আগে তারা ম্যাগনাস ইএক্স (Magnus EX) নামক একটি আরামদায়ক ফ্যামিলি স্কুটার ১২১ কিমি রেঞ্জের সাথে লঞ্চ করেছিল। রেঞ্জের জন্য এটি এআরএআই (Automotive Research Association of India)-এর শংসাপত্রও পায়।

উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইকোসিস্টেম তৈরির কাজে লেগে পড়েছে গ্রীভস (Greaves)। ভারতে তারাই প্রথম মাল্টি ব্র্যান্ড ইভি(EV) রিটেল স্টোর নিয়ে এসেছে। সারা দেশে এদের ৭,০০০-এর বেশি টাচপয়েন্ট, ১২,০০০-এর অধিক মেকানিক স্টাফ এবং অন-কল সাপোর্ট টিম রয়েছে।