COP26: গোটা বিশ্বে নিরন্তর বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে Green Grid উদ্যোগের সূচনা করল ভারত ও ব্রিটেন

“মানবজাতির ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে হলে সূর্যের কাছেই ফিরতে হবে”। গ্লাসগোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন, ২৬তম ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’-এ সৌরশক্তি তথা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে এমনটাই বললেন…

“মানবজাতির ভবিষ্যৎকে বাঁচাতে হলে সূর্যের কাছেই ফিরতে হবে”। গ্লাসগোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন, ২৬তম ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’-এ সৌরশক্তি তথা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একইসঙ্গে তিনি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) সূচনা করলেন আর্ন্তজাতিক গ্রিন গ্রিড (Green Grid) প্রকল্পের। যে উদ্যোগের লক্ষ্য একটি গ্লোবাল গ্রিন গ্রিড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশবান্ধব শক্তি থেকে উৎপাদিত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

বিভিন্ন দেশের সৌর প্যানেল অথবা উইন্ডমিল থেকে সংগৃহীত শক্তি পরিবাহিত হবে একটি গ্রিডে (বিদ্যুতের লাইন)। বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত থাকবে এই নেটওয়ার্ক। যাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর বা অনুকূল আবহাওয়া না থাকা সত্বেও নিরন্তর বিদ্যুতের সরবরাহ থেকে বঞ্চিত না হয় কোনও দেশ।

প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, কোন দেশের কোথায় সৌরশক্তির উৎপাদন হওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকবে, তার হদিশ দেবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। তারা স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে একটি সোলার ক্যালকুলেটর তৈরি করবে। যা বলে দেবে, কখন কোথায় সূর্যের তেজ হবে সবথেকে বেশি।

মোদী আরও বলেন, মানুষ এক বছরে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, কেবল এক ঘন্টায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে সমপরিমাণ সূর্যোলোক পায়। এই শক্তির পুরোটাই শুদ্ধ ও প্রকৃতিবান্ধব। তবে সৌরশক্তির মূল সমস্যা হল, এটি শুধু দিনের বেলা উপলব্ধ এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড, ওয়ান সান, ওয়ান গ্রিড’ প্রকল্প সেই সমাস্যার সমাধানে পথ দেখাবে।