Airo: দূষিত বায়ু কে বিশুদ্ধ করবে এই কনসেপ্ট গাড়ি, খুব শীঘ্রই শুরু হবে উৎপাদন

পরিবেশ দূষণের জন্য অন্যতম একটি কারণ হল জৈব জ্বালানি নির্ভর গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া। তাই সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির নির্মাণ…

পরিবেশ দূষণের জন্য অন্যতম একটি কারণ হল জৈব জ্বালানি নির্ভর গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া। তাই সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির নির্মাণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। একই সাথে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়াতে নিত্যনতুন প্রকল্প ও ভর্তুকির ঘোষণা করে চলেছে কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার। দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যাধিক্য হলে পরিবেশের জন্য অবশ্যই একটি সুখবর। কারণ গাড়ির ধোঁয়া থেকে যেটুকু পরিমাণ পরিবেশ দূষণ হতো তা আর হবে না। কিন্তু যদি দূষিত বায়ু ঠিক করতে পারে এমন কোনো বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আসে তবে কেমন হয় ব্যাপারটা? হ্যাঁ অবশ্যই যে সেটা চমৎকার একটি বিষয় হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুনতে অবাক লাগলেও এবার সেটাই বাস্তবে ঘটতে চলেছে।

সম্প্রতি সাংঘাই কার শো (Sanghavi Car Show) এবং গুডউড ফেষ্টিভেল অফ স্পিড (Goodwood Festival of Speed)-এ এমন একটি গাড়ির প্রদর্শন করা হয়েছে যা দূষিত বায়ু স্বাস্থ্যকর করতে সক্ষম। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! ব্রিটিশ ডিজাইনার থমাস হিদারউইক (Thomas Heatherwick) এই গাড়িটি তৈরি করেছেন। উক্ত প্রদর্শনীতে তিনি কনসেপ্ট কারটি সর্বসমক্ষে নিয়ে আসেন। এয়ারো (Airo) নামক সেই কনসেপ্ট গাড়িটি খুব শীঘ্রই গণ উৎপাদনের জন্য বরাত দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

হিদারউইক এই কনসেপ্ট গাড়িটির প্রসঙ্গে বলেছেন, “এয়ারো (Airo) পরিবেশ থেকে একটি টেনিস বলের সমান আকারের কণা সংগ্রহ করতে পারে।” HEPA ফিল্টারের সাথে যুক্ত করা হলে বৈদ্যুতিক গাড়িটি তার চারপাশের দূষিত বায়ু বিশুদ্ধ করবে বলে দাবি করেছেন থমাস। এই বিশেষত্বটি ছাড়াও গাড়িটির অন্যান্য ফিচার গুলিরমধ্যে এতে রয়েছে ফোল্ডেড সিট যা সম্পূর্ণ খুলে দিলে একটি বিছানার রূপ নেবে, একটি চারপায়া যুক্ত ডাইনিং টেবিল, ভিডিও ইমেজ স্ক্রিন এবং আরো অন্যান্য।

আমাদের দেশের যেসব রাজ্যে বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি বিশেষত দিল্লিতে এমন গাড়ির বিশেষ প্রয়োজন। প্রতি বছর এই সময়ে দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা থাকে সঙ্কট সীমারও অনেক ঊর্ধ্বে। দিল্লি সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে বাজি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত ধোঁয়া এবং গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এর জন্য মূলত দায়ী। তাই আগামী দিনে এখানে এয়ারো গাড়িটি এলে বিশেষ উপকৃত হবেন রাজ্যবাসী।

তবে এই সমস্ত বিষয়টি এখনও কল্পনার জায়গাতেই রয়েছে। এটা বাস্তবে তখনই সম্ভব যদি গাড়িটির উৎপাদন শুরু হয় এবং দাম সাধ্যের মধ্যে থাকে। গাড়িটি তৈরি হওয়া এবং রাস্তায় চলার বিষয়ে হিদারউইক ভীষণই আশাবাদী এবং আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এর উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে তাঁর প্রত্যাশা। তবে কি এই গাড়ির হাত ধরেই বায়ু দূষণ বাস্তবে কমবে? সময়ই তার জবাব দেবে।