ব্যানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যেতে পারবেনা কোনো চীনা অ্যাপ, পিটিশন জমা দিল সরকার

গত মাসে সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনার কথা এবং ভারত সরকার কর্তৃক ৫৯টি চীনা অ্যাপ্লিকেশন ব্যান হওয়ার কথা আপনারা সবাই জানেন। অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ হওয়ায় নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রচুর…

গত মাসে সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনার কথা এবং ভারত সরকার কর্তৃক ৫৯টি চীনা অ্যাপ্লিকেশন ব্যান হওয়ার কথা আপনারা সবাই জানেন। অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ হওয়ায় নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রচুর লোকসান হচ্ছে এমন কথাও সামনে এসেছে। তবে সংস্থাগুলিকে হয়তো এই লোকসান বয়েই বেড়াতে হবে। কারণ সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি ভারত সরকার রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, যাতে কেউ ওই চীনা অ্যাপ্লিকেশনগুলির নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার রাজস্থান হাইকোর্টে একটি তথাকথিত ক্যাভিয়েট পেশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে এক বা একাধিক সংস্থা, ভারতের
বৈদ্যুতিন এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। যা দেশের জন্য মোটেও কাম্য নয়।

ভারতীয় আইনজীবিরা বলছেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অর্থাৎ ব্যান হওয়া অ্যাপগুলি কে ফেরাতে সংস্থাগুলি যাতে কোনো রকম আইনি পদক্ষেপ না নিতে পারে, সেকারণে সরকার আদালতে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে। গত শুক্রবার রাজস্থান আদালতে এই পিটিশনটি উপস্থাপিত করা হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারের এই ফাইলিংয়ে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় মোবাইল এবং ইন্টারনেট ইউজারদের গোপনীয়তা রক্ষা, ভারতীয় সাইবার স্পেসের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার জন্য অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।’ যদিও সরকার কেন রাজস্থানের আদালতেই আবেদন করেছে এবং অন্য কোথাও অনুরূপ আবেদন করার পরিকল্পনা করছে কিনা তা এই মুহূর্তে জানা যায়নি। ভারতের তথ্য মন্ত্রক এবং নয়াদিল্লির চীনা দূতাবাস এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

আপনাকে জানিয়ে রাখি এর আগে শোনা যাচ্ছিলো সরকারের সিদ্ধান্ত কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে টিকটক সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। যদিও কোম্পানির তরফে পরে এই খবর অস্বীকার করা হয় এবং তারা জানায় সরকারের সাথে কথা বলেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় আছে তারা। যদিও সরকারের নতুন এই পিটিশন ভবিষ্যতে সমস্ত কোম্পানির জন্য আদালতের দরজা যে বন্ধ করে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।