কোন প্রোডাক্ট কোন দেশে তৈরী, দেখতে শুরু করলো ফ্লিপকার্ট

কয়েকদিন আগেই আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম ভারত সরকার তথা শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগ (DPIT), ই-কমার্স সাইটগুলিকে অনলাইনে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন প্রোডাক্টের ‘কান্ট্রি অফ অরিজিন’ বা…

কয়েকদিন আগেই আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম ভারত সরকার তথা শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগ (DPIT), ই-কমার্স সাইটগুলিকে অনলাইনে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন প্রোডাক্টের ‘কান্ট্রি অফ অরিজিন’ বা উৎস উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যার পরে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্ট, কয়েকটি প্রোডাক্টে ‘কান্ট্রি অফ অরিজিন’ লেখা শুরু করলো।

আসলে ঘুরপথে চীনা প্রোডাক্টের সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধ করতেই সরকার এই বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেখানে ই-কমার্স সাইটগুলিকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সমস্ত প্রোডাক্টের উৎস সম্পর্কে তথ্য আপডেট করতে হবে। যদিও অ্যামাজন এবং স্ন্যাপডিলের মত সংস্থার অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটে এখনো অবধি সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

তবে ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনে কিছু বাছাই করা প্রোডাক্টের তথ্য ‘ম্যানুফ্যাকচারিং প্যাকেজিং অ্যান্ড ইমপোর্ট ইনফো’ সেকশনে প্রদর্শিত হচ্ছে। কোনো প্রোডাক্টের উৎস সম্পর্কে জানতে একটু নিচে স্ক্রল করে ‘More Info’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ফ্লিপকার্ট জানিয়েছে সংস্থার প্লাটফর্মে ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি প্রোডাক্ট রয়েছে, এগুলির উৎস আপডেট করার কাজ সহজ নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্লিপকার্ট এক্সিকিউটিভ বলছেন, বিক্রি হওয়া প্রোডাক্টগুলির উৎস প্রকাশ করা জরুরি বিষয়, তাই সংস্থা ইউজারদের কাছে এই ধরণের তথ্য প্রকাশ করার কাজ শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, DPIT, ১৫ই আগস্টের মধ্যে সমস্ত ই-কমার্স সংস্থাকে এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ভারতের সমস্ত বড় ই-কমার্স সংস্থাগুলি প্রোডাক্টের উৎস আপডেট করার জন্য আরও সময় চেয়েছিল।