ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুতর ভূমিকা পালন করবে আধুনিক প্রযুক্তি: অভিমত উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর

প্রযুক্তির বিকাশ ও ব্যবহারে ভারত বিশ্বদরবারে এখন অনেকটাই শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। সেক্ষেত্রে গত শনিবার ঋষিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rishihood University) উদ্বোধনকালে, ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতির জন্য শিক্ষার…

প্রযুক্তির বিকাশ ও ব্যবহারে ভারত বিশ্বদরবারে এখন অনেকটাই শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। সেক্ষেত্রে গত শনিবার ঋষিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rishihood University) উদ্বোধনকালে, ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতির জন্য শিক্ষার সাথে প্রযুক্তির মেলবন্ধন করানোর কথা বললেন উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁর মতে, প্রযুক্তি সর্বপ্রকার বাধা অতিক্রম করে শিক্ষাকে ‘শেষ মাইল’ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। একই সাথে, আমাদের দেশের গৌরবময় ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি গতকাল বলেন যে, ভারতকে একসময় ‘বিশ্ব গুরু’ হিসাবে সমাদৃত করা হত। তবে দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ‘ঔপনিবেশিক’ শিক্ষানীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরী করছে। তাই প্রাচীন যুগের জ্ঞান-সম্ভারকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আনার সময় এসেছে বলে উপরাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন। তদুপরি, গণতান্ত্রিক রূপে শিক্ষার প্রচারে প্রযুক্তিকে মাধ্যম করার কথাও শোনা যায় এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু মহাশয়ের ভাষণে।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘ভারতীয়করণ’ করার আহ্বান:

সম্প্রতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু মহাশয়, দেশের প্রাচীন জ্ঞান-সম্পদের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা ব্যবস্থার ‘ভারতীয়করণ’ (Indianising) করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য অনুযায়ী, ভারতের নিজস্ব একটি গৌরবময় ইতিহাস আছে। কিন্তু, ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষের মধ্যে হীনমন্যতা, জটিলতা এবং ব্যবধান তৈরি করেছে। তাই এখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘মূল্য-ভিত্তিক’ পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে, যেমনটি নতুন শিক্ষানীতি (NEP) ২০২০-এ উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই প্রসঙ্গে তিনি টেকনোলজির কথা তুলতে ভোলেননি। বরঞ্চ শিক্ষার গণতন্ত্রীকরণে, প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার সুপ্ত সম্ভাবনা ও জ্ঞানকে সমাজের উন্নয়নে কাজে লাগানোর কথা বলেছেন।
 
উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু ভারতকে উদ্ভাবন (innovation), জ্ঞান (learning) এবং বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের (intellectual leadership) ‘হাব’ বা কেন্দ্রে পরিণত করার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। তদ্ব্যতীত, বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশের নালন্দা, তক্ষশীলার মত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার প্রাক-প্রসিদ্ধতা ফিরিয়ে আনতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার উপর জোর দিয়েছেন নাইডু। এক্ষেত্রে, শিক্ষার অগ্রগতির পথনির্দেশনা করতে গিয়ে তিনি – গবেষণার মান, সর্ব স্তরে শিক্ষাদান, আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা র‌্যাঙ্কিং, স্নাতকদের নিয়োগযোগ্যতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যান্য দিকের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার কথা বলেছেন।