ভারতে iPhone-এর উৎপাদন আরও বাড়ানো হোক, Apple-এর কাছে আবেদন কেন্দ্র সরকারের

‘Make in India’ প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে দেশীয় বাজারে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমেরিকার জনপ্রিয় টেক সংস্থা Apple -এর কাছে আবেদন জানালো ভারত সরকার। বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রীসভার…

‘Make in India’ প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে দেশীয় বাজারে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমেরিকার জনপ্রিয় টেক সংস্থা Apple -এর কাছে আবেদন জানালো ভারত সরকার। বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রীসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের উপস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত Apple কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে এই আবেদন পেশ করা হয়। সংবাদ সংস্থা Times of India -র প্রতিবেদনে উভয়পক্ষের বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামীদিনে Apple এদেশে আরো বেশি পরিমাণ উৎপাদনে রাজি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে Apple ভারতে iPhone উৎপাদনে বিনিয়োগ শুরু করে। আঞ্চলিক বাজারে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তারা প্রথমে ব্যাঙ্গালোর এবং পরবর্তীকালে চেন্নাইয়ে প্রোডাক্ট উৎপাদন সংক্রান্ত কাজে অগ্রসর হয়। তাছাড়া প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদনের কথা বাদ দিলেও গত দুই দশক ধরে সংস্থাটি দেশীয় বাজারে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবসায়িক ভিত মজবুত করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে তারা ভারতে প্রায় ১ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান তৈরীর ব্যাপারে আশাবাদী বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Apple কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদনে কি দাবী করলেন সরকারি প্রতিনিধি দল?

অ্যাপল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি প্রতিনিধি দল মূলত বিনিয়োগ বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেন। মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগকে সামনে রেখে সংস্থাটি যাতে ভারতের বাজারে নিজস্ব উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে তৎপর হয়, সরকারের তরফ থেকে সেই আবেদন অ্যাপল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ৫-৬ বছরে অ্যাপল অন্তত ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক উৎপাদন প্রকল্পে বিনিয়োগ করুক, সরকারি প্রতিনিধি দল মূলত সেই কথাটাই বলতে চেয়েছেন।

অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, সাম্প্রতিক কালে Apple iPhone SE, iPhone 11 এবং iPhone 12 -এর মতো মডেলগুলি ভারতেই উৎপাদিত (Assembled) হচ্ছে। এ কাজে অ্যাপল কে সাহায্য করছে Foxconn, Wistron এবং Pegatron -এর মতো বৃহৎ সংস্থা। যদিও বিশ্ববাজারের নিরিখে এদেশে অ্যাপলের উৎপাদনের পরিমাণ এখনো সামান্যই।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ বা পিএলআই (PLI) স্কিমের মাধ্যমে বহুজাতিক সংস্থাগুলির পক্ষে দেশীয় বাজারে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরী করতে তৎপর বলে TOI রিপোর্টের বক্তব্য। এক্ষেত্রে ঢালাও সুযোগ-সুবিধা প্রদান ছাড়াও কোম্পানীগুলির জন্য বিরাট ভর্তুকির বন্দোবস্ত থাকছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন