ইলেকট্রিক ভেহিকেল সম্পর্কিত নানাবিধ নির্দেশিকা প্রায়শই নিয়ে আসার জন্য খবরের শিরোনামে থাকে দিল্লি সরকার। এবার দিল্লির পাশাপাশি এর পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রশাসিত রাজ্য চন্ডিগড় এই ক্ষেত্রটিতে বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ার খসড়া নীতি এনেছে। এই খসড়া নীতি অনুযায়ী, রাজ্যের দুই, তিন ও চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি, ইলেকট্রিক কার্গো ভেহিকেল এবং বাণিজ্যিক যানবাহন কিনলে দেওয়া হবে ভর্তুকি। কেন্দ্রীয় সরকারের ফেম-২ (FAME-II) প্রকল্প ছাড়াও অতিরিক্ত ভাবে মিলবে এই আর্থিক ছাড়ের সুবিধা।
সম্প্রতি শহরের প্রথম বৈদ্যুতিক খসড়া নীতিটি নিয়ে এসেছে চন্ডিগড় সরকার, যা এপ্রিল ২০২২ থেকে কার্যকর করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য এটি জারি থাকবে। চন্ডিগড়কে ‘মডেল ইভি সিটি’ (Model EV City) হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। আমজনতার মতামত গ্রহণের জন্য খসড়া নীতিটি আগামী ৩০ দিন জনসমক্ষে রাখা থাকবে। জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে খসড়া নীতিটি পাকাপাকি ভাবে আইনে পরিণত করা হবে৷
খসড়া নীতিতে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনাতে ভর্তুকি দেওয়ার সাথে মকুব করা হবে রেজিস্ট্রেশন ফি। যদিও এই রেজিস্ট্রেশন ফি ইতিমধ্যেই মকুবের কথা ঘোষণা করেছে চন্ডিগড় প্রশাসন। গ্রাহকরা ইলেকট্রিক টু-হুইলারের প্রতি কিলো ওয়াটে ৫,০০০ টাকা হিসেবে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকার ইনসেন্টিভ পাবেন। অন্যদিকে চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে প্রতি কিলো ওয়াটে ১০,০০০ টাকা হিসেবে সর্বোচ্চ ১.৫০ লক্ষ টাকার ভর্তুকি দেবে সরকার। আবার ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার, রিক্সা এবং অন্যান্য তিন চাকার গাড়িতে দেওয়া হবে ৩০,০০০ টাকার উৎসাহ ভাতা।
এছাড়াও খসড়া নীতিতে প্রতি বছর পেট্রোল ও ডিজেল চালিত দুই ও তিন চাকার গাড়ির সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার চন্ডিগড় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন পরিচালিত শহরের পার্কিং ক্ষেত্রগুলিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির পার্কিং চার্জ লাগবে না বলে উল্লেখ রয়েছে খসড়ায়। অন্যদিকে আগামী দুই বছরের মধ্যে রাজ্যে ১০০ টি পাবলিক চার্জিং স্টেশন তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।