ডিসেম্বর মাসে কয়েক মিলিয়ন গ্রাহক হারিয়েছে Reliance Jio, TRAI-এর রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ব্যবসা শুরুর পর থেকেই Reliance Jio (রিলায়েন্স জিও) নিজের আধিপত্য বিস্তার করে বাজারের শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। তবে হালফিল সময় সংস্থাটির জন্য লাভজনক হচ্ছে না…

ব্যবসা শুরুর পর থেকেই Reliance Jio (রিলায়েন্স জিও) নিজের আধিপত্য বিস্তার করে বাজারের শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। তবে হালফিল সময় সংস্থাটির জন্য লাভজনক হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। আসলে TRAI (ট্রাই)-এর সাম্প্রতিক টেলিকম রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর ২০২১-এ Jio ১২.৯ মিলিয়নেরও বেশি ওয়্যারলেস গ্রাহক হারিয়েছে। অথচ ওই একই সময়ে Bharti Airtel (ভারতী এয়ারটেল) এবং BSNL (বিএসএনএল) নিজেদের নেটওয়ার্কে নতুন গ্রাহক জুড়তে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রাহক হারানোর পরেও Jio-র বাজার শেয়ার এখনও ৩৬ শতাংশে রয়ে গেছে। মার্কেট শেয়ারের ভিত্তিতে তালিকায় Airtel ৩০.৮১ শতাংশ শেয়ারসহ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থাটি ৪,৫০,০০০-এর বেশি গ্রাহক অর্জন করেছে। অন্যদিকে Reliance Jio-র মত Vi-ও প্রায় ১.৬ মিলিয়ন ইউজার হারিয়েছে গত বছরের শেষ লগ্নে।

ডিসেম্বরে এত সংখ্যক ওয়্যারলেস গ্রাহক সক্রিয় ছিলেন

রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ VLR বা অ্যাক্টিভ ওয়্যারলেস ইউজারের সংখ্যা ছিল ১,০০০.৬৩ মিলিয়ন। আর মোট ওয়্যারলেস গ্রাহকের সংখ্যা ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষে ১,১৬৭.৫০ মিলিয়ন থেকে কমে ডিসেম্বরের শেষে ১,১৫৪.৬২ মিলিয়নে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে এক মাসে শহরাঞ্চলে ওয়্যারলেস সাবস্ক্রিপশন ৬৩৮.৪৬ মিলিয়ন থেকে ৬৩৩.৩৪ মিলিয়ন এবং গ্রামীণ এলাকায় ৫২৯.০৪ মিলিয়ন থেকে কমে ৫২১.২৮ মিলিয়নে পৌঁছেছে। শহুরে এবং গ্রামীণ ওয়্যারলেস সাবস্ক্রিপশনের মাসিক হ্রাসের হার যথাক্রমে ০.৮০ শতাংশ এবং ১.৪৭ শতাংশ।

টেলিকম টক-এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রিলায়েন্স জিও তার মোট সাবস্ক্রিপশন থেকে নিষ্ক্রিয় গ্রাহকদের সরাতে কাজ করতে পারে। শুধু তাই নয়, নভেম্বরের শেষে প্রিপেইড শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনা নিম্ন আয়ের ইউজারদের জিও ছেড়ে বিএসএনএলে যেতে বাধ্য করেছে বলে এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, আলোচ্য সময়ে এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার সক্রিয় ওয়্যারলেস গ্রাহকের অনুপাত ছিল যথাক্রমে ৯৮.০১ শতাংশ এবং ৮৬.৪২ শতাংশ। ট্রাইয়ের মতে, ডিসেম্বর মাসে বিএসএনএলের ৯.৯০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার এবং এমটিএনএলের ০.২৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার ছিল৷ আর এক্ষেত্রে মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও, ৩.০১ শতাংশের মাসিক নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে।