HTC Metaverse Phone: কল্প-দুনিয়াকে পুঁজি করে কামব্যাকের স্বপ্নে এইচটিসি, এপ্রিলে নতুন স্মার্টফোন আনছে

একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর৷ স্যামসাং (Samsung) ও অ্যাপল (Apple)-এর দাপটে এইচটিসি (HTC)-র ব্যবসায় ক্ষয় শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে চিনা সংস্থাগুলির দাপটে নির্ধারিত হয়ে যায়…

একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর৷ স্যামসাং (Samsung) ও অ্যাপল (Apple)-এর দাপটে এইচটিসি (HTC)-র ব্যবসায় ক্ষয় শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে চিনা সংস্থাগুলির দাপটে নির্ধারিত হয়ে যায় তাদের অন্তিমযাত্রা। স্মার্টফোনের বাজারে এইচটিসির অংশীদারিত্ব কমতে কমতে এখন দূরবীন দিয়ে খোঁজার মতো। তবে ব্যবসার পরিসর বাড়াতে এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির গ্যাজেটের উপরে মনোনিবেশ করেছে তাইওয়ানের সংস্থাটি‌। সুফলও মিলেছে হাতেনাতে।

আজও কয়েকটি দেশে কমদামি হ্যান্ডসেট বিক্রি করে এইচটিসি। তবে ব্যর্থতা এলেও সংস্থাটির রক্তে এখনও বইছে দুর্ধর্ষ প্রিমিয়াম স্মার্টফোন তৈরির দক্ষতা। এবার এই ধরনের দামি ডিভাইসের বাজার ধরতে এইচটিসি হাতিয়ার করছে ‘মেটাভার্স’ (Metaverse)-কে, বা সহজবোধ্য ভাষায় বললে ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল দুনিয়াকে। ক’দিন আগেই মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের ২০২২ সংস্করণে এইচটিসি জানিয়েছে, তারা সামনের মাসে একটি ফ্ল্যাগশিপ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে, যা মেটাভার্সের কয়েকটি ফিচারের সাথে আসবে।

এক দশক আগেও বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল এইচটিসি (HTC)। ২০০৮ সালে অ্যান্ড্রয়েড (Android) অপারেটিং সিস্টেমের সাথে প্রথম হ্যান্ডসেট বাজারে এনেছিল তারাই। কিন্তু, প্রবল প্রতিযোগিতা এবং লাগাতার লোকসানের মুখ দেখায় পাঁচ বছর আগে গুগল (Google)-এর কাছে স্মার্টফোন ব্যবসার অর্ধেক বেচে দেয় তারা। এদিকে করোনা অতিমারির পর থেকেই ভার্চুয়াল দুনিয়ার প্রতি আসক্তি বাড়ছে মানুষের। এই জাতীয় কল্প-দুনিয়া বাস্তব দুনিয়ার অনেক অপূর্ণতা ঢেকে দেয়। আর এখন সেই সামান্তরাল দুনিয়ার প্রযুক্তি স্মার্টফোনে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে এইচটিসি।

এই প্রসঙ্গে এইচটিসির ম্যানেজার (এশিয়া প্যাসিফিক) চার্লস হুয়াং (Charles Huang) ডিজিটাইমসের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁরা এপ্রিলে একটি ‘মেটাভার্স ফোন’ (Metaverse Phone) লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে। যা প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আসতে চলেছে। মেটাভার্স ফোনের অর্থ অবশ্য এইচটিসি স্পষ্ট করে বলেনি। তবে সেটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমান, এইচটিসি মেটার্ভার্স ফোনে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (AR), ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (VR) পরিচালনার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কাটিং-এজ হার্ডওয়্যার ব্যবহার হবে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও ট্রেন্ডিং প্রযুক্তিকে পুঁজি করে স্মার্টফোন জগতের নজর আকর্ষণর প্রচেষ্টা করেছে এইচটিসি। ২০১৮ সালে তারা লঞ্চ করেছিল এক্সোদাস ১ (Exodus 1) ক্রিপ্টোফোন। যাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য স্মার্টফোনটি উপযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ক্রিপ্টোর রমরমা সত্বেও এক্সোদাস ১ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি বেশি মানুষ। স্মার্টফোনটির গায়ে লেগে গিয়েছিল ফ্লপের তকমা। এইচটিসির আপকামিং মেটাভার্স ফোন সত্যিই কি গেম-চেঞ্জিং হবে, নাকি পরিণতি হবে সেই ক্রিপ্টোফোনের মতো, সেটা একমাত্র সময়ই বলবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন