ভারতে ফোন তৈরি করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সেগুলি রপ্তানিও করবে Xiaomi, Oppo এবং Vivo

এবার ভারতে ফোন তৈরি ছাড়াও বিশ্বব্যাপী সেগুলি রপ্তানি করবে Xiaomi (শাওমি), Oppo (ওপ্পো) ও Vivo (ভিভো)-র মত স্মার্টফোন সংস্থা! হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর খবর…

এবার ভারতে ফোন তৈরি ছাড়াও বিশ্বব্যাপী সেগুলি রপ্তানি করবে Xiaomi (শাওমি), Oppo (ওপ্পো) ও Vivo (ভিভো)-র মত স্মার্টফোন সংস্থা! হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে, শীর্ষস্থানীয় চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা Xiaomi, Oppo এবং Vivo ভারতীয় নির্মাতাদের সাথে দেশে ফোন তৈরি এবং বিদেশের অন্যান্য বাজারে রপ্তানি করার বিষয়ে আলোচনা করছে। Livemint-এর একটি নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিকল্পনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়িত করতে Oppo এবং Vivo, Lava International Ltd (লাভা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড) এবং Xiaomi, Dixon Technologies India Ltd (ডিক্সন টেকনোলজিস ইন্ডিয়া লিমিটেড)-এর সাথে আলোচনা করছে।

এক্ষেত্রে বলে রাখি, ভিভো এর আগে ভারতে তার বার্ষিক উৎপাদন বাড়িয়ে ৬০ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করার এবং ২০২২ সালের শেষের দিকে রপ্তানি শুরু করার প্রস্তাব রেখেছিল। তবে উৎপাদন শুরু করার জন্য সরকারের প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ বা PLI স্কিম থেকে সব কোম্পানি লাভবান হতে চাইছে। উল্লেখ্য যে, ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের পরবর্তী কেন্দ্র হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের স্বাগত জানাচ্ছে, এবং সেই লক্ষ্যেই ২০২০ সালে PLI চালু করা হয়েছিল। এই কর্মসূচির লক্ষ্যই হল আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ১৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করা।

একথা প্রায় সবারই জানা যে, চীনের পর ভারতই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার। তবুও কিন্তু ভারত যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের জন্য মূলত অন্যান্য দেশের উপরই নির্ভরশীল। তাই শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতাদের কর্তৃক নেওয়া এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যে বিশ্ববাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, সেকথা বলাই বাহুল্য। এর পাশাপাশি নির্মাতারাও একটি দেশের উপর তাদের নির্ভরতা কমাতে আগ্রহী। কারণ গত কয়েক বছর ধরে চিপের ঘাটতি, বৈশ্বিক মহামারী, এবং একাধিক দেশের মধ্যে চলা রাজনৈতিক উত্তেজনা – ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ইলেকট্রনিক্স শিল্প বেশ বড়োসড়ো চাপের সম্মুখীন হয়েছে। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের তিক্ত বাণিজ্যযুদ্ধও স্মার্টফোন নির্মাতাদেরকে নতুন বাণিজ্যিক কৌশলের কথা ভাবতে বাধ্য করছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছরগুলিতে ভারতীয় স্মার্টফোনের বাজার যে চরম উন্নতির মুখ দেখতে চলেছে, সেকথা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এদিকে Deloitte-এর রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০২২ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে স্মার্টফোনের শিপমেন্ট ১.৭ বিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার সুবাদে ২৫০ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ১ বিলিয়ন স্মার্টফোন ইউজারবেস থাকবে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হয়ে উঠবে।