iPhone-এর সাথে চার্জার এবং এয়ারপডস না দেওয়ায় ৫০,০০০ কোটি টাকা লাভ Apple-এর, জানাল রিপোর্ট

একথা আমাদের সকলেরই জানা যে, পরিবেশগত সমস্যার দোহাই দিয়ে ২০২০ সাল থেকে আইফোনের (iPhone) সাথে চার্জিং অ্যাডাপ্টার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বখ্যাত সংস্থা Apple (অ্যাপল)।…

একথা আমাদের সকলেরই জানা যে, পরিবেশগত সমস্যার দোহাই দিয়ে ২০২০ সাল থেকে আইফোনের (iPhone) সাথে চার্জিং অ্যাডাপ্টার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বখ্যাত সংস্থা Apple (অ্যাপল)। পরবর্তীকালে তারা ফোনের সাথে এয়ারপডসও না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল যে, এর মূল উদ্দেশ্য হল ইলেকট্রিক বর্জ্যের পরিমাণ কমানো। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, আইফোনের সঙ্গে চার্জার ও ইয়ারপডস না দিলে প্রতি বছর প্রায় ২ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমে যাবে, যা ৫ লক্ষ গাড়ির দ্বারা উৎপন্ন কার্বন নির্গমনের সমতুল্য।

আপাতদৃষ্টিতে অ্যাপলের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মনে হলেও এর ফলে লক্ষ লক্ষ গ্রাহককে চরম অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। ফলে তিতিবিরক্ত হয়ে বারংবার তারা অ্যাপলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে এসবের পাশাপাশি সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে অতি চাঞ্চল্যকর এক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে যে, গ্রাহকরা চূড়ান্ত অসুবিধার সম্মুখীন হলেও অ্যাডাপ্টার এবং এয়ারপডস না দেওয়ার ফলে অ্যাপল প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করতে সক্ষম হয়েছে!

কি শুনে খুব অবাক হচ্ছেন নাকি? বিষয়টি নিয়ে না ভাবলেও কথাটা কিন্তু সত্যি। অ্যাপল আইফোন বক্সের সাথে অ্যাডাপ্টার এবং ইয়ারবাডস না দিলেও আলাদাভাবে সেগুলি বিক্রি করে, এবং বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের তা কিনতেও হয়। এই অ্যাক্সেসরিজগুলি ছাড়া কোম্পানিটি ১,৫৪৯ পাউন্ডে (প্রায় ১,৫৪,৮০৪ টাকা) আইফোন বিক্রি করে। এর সুবাদে প্রতিটি ফোন থেকে প্রায় ২৭ পাউন্ড (২,৬৯৪ টাকা) সাশ্রয় করে অ্যাপল, যেখানে অ্যাডাপ্টার এবং ইয়ারফোনগুলি পৃথকভাবে ১৯ পাউন্ডে (প্রায় ১,৮৯৬ টাকা) বাজারে বিক্রি করে।

এমত পরিস্থিতিতে সিসিএস ইনসাইটের প্রধান প্রযুক্তি বিশ্লেষক বেন উডের মতে, অ্যাপল বিশ্বব্যাপী ১৯০ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করেছে। এমতাবস্থায় আইফোনের সঙ্গে চার্জার ও ইয়ারফোন না দিলে অ্যাপলের ৫ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪,৯৮,৮৩,২৩,৬৯,৫০০ টাকা) সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেইসাথে, আলাদাভাবে অ্যাডাপ্টার এবং ইয়ারপডস বিক্রি করায় সংস্থাটি অতিরিক্ত ২২৫ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করতে সক্ষম হয়েছে বলে আশা করা যেতে পারে।

Apple-এর পদক্ষেপে কমেছে দূষণও

তবে বিভিন্ন রিপোর্টে এরকম নানা পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসলেও কার্বন নিরপেক্ষ প্রোডাক্ট তৈরির লক্ষ্যে অ্যাপল কিন্তু নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটি দাবি করেছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সকল প্রোডাক্ট সম্পূর্ণভাবে কার্বন নিউট্রাল হবে। আগেই বলেছি যে, ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অ্যাডাপ্টার, ইয়ারপডসের মতো অ্যাক্সেসরিজ সরিয়ে প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত উপকরণ কমিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। এতে ২০ লাখ মেট্রিক টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।