প্রতি ত্রৈমাসিকে একটি করে নতুন মডেলের টু-হুইলার নিয়ে আসবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)। সেই মতো ভারতের বাজারে স্ক্র্যাম্বলার মডেলের মোটরসাইকেল স্ক্র্যাম ৪১১ (Scram 411) লঞ্চ করেছে সংস্থাটি। তার একমাস না পেরোতেই নতুন রঙের বাইক লঞ্চের ইঙ্গিত পাওয়া গেল। সম্প্রতি নীল রঙের মিটিওর ৩৫০ (Meteor 350)-এর ফায়ারবল ভ্যারিয়েন্টটি সংস্থার এক ডিলারশিপে স্পট করা গিয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই যে এটি নতুন কালার অপশনে লঞ্চ হবে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হোন্ডা (Honda) ও বাজাজ (Bajaj) তাদের মোটরসাইকেলে নতুন রঙ যোগ করার খবর সামনে এসেছিল। আর এবারে ঝাঁ চকচকে উজ্জ্বল নীল বর্ণের Royal Enfield Meteor 350-এর ছবি ডিলারশিপ থেকে সামনে পেল। বাইকটির নীল রঙের ফুয়েল ট্যাঙ্কে হলুদ রঙের Royal Enfield ব্র্যান্ডিংটি শোভা বাড়িয়েছে। এর বাদবাকি যন্ত্রাংশ যেমন ফেন্ডার, সাইড প্যানেল, এগজস্ট পাইপ এবং ইঞ্জিন কেসিং অন্য মডেলগুলির মতো কালো রঙেই দেখা গেছে। অতিরিক্ত ফিচার বলতে ব্ল্যাক অ্যালয়ের মধ্যে হলুদ টেপ চমকাচ্ছে।
রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০-এর নতুন রঙটির পোশাকি নাম হতে পারে ফায়ারবল ব্লু। মোটরসাইকেলটির লাল এবং হলুদ রঙের সাথে যুক্ত হতে চলেছে নীল বর্ণ। অনুমান করা হচ্ছে বাকি মডেলগুলির মত নীল রঙের মডেলটির দাম একই রাখা হবে, যা ২.০১-২.০৩ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। ফায়ারবল ভ্যারিয়েন্ট ছাড়াও মিটিওর ৩৫০ স্টিলার এবং সুপারনোভা বিকল্পে উপলব্ধ।
পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে আসলে, রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০- এর ৩৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিনটি থেকে ২০.২ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। ৫-স্পিড ট্রান্সমিশন রয়েছ এতে। বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি ১৫ লিটার এবং ওজন ১৯১ কেজি। রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন জে প্ল্যাটফর্মের প্রথম মডেল এটি।