Aprilia RS 457: কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সবাই, গাড়ির মতো লম্বা ওয়েটিং পিরিয়ড এই বাইকের
দেখতে যেমন আগ্রাসী, ঠিক তেমনই গর্জন। পাশ দিয়ে ছুটে বেরিয়ে গেলে মনে হবে পথের রাজা। এমনই এক মোটরসাইকেল ‘২০২৩ ইন্ডিয়া বাইক উইক’-এ ঝড় তুলে লঞ্চ হয়েছিল। বুঝতেই পারছেন, এখানে Aprilia RS 457-এর কথা বলা হচ্ছে। স্পোর্টস বাইকটি যে ক্রেতাদের মনে এতটা প্রভাব বিস্তার করবে, তা কোম্পানি ভাবতেও পারিনি। যোগান কম থাকায় চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। ফলস্বরূপ ওয়েটিং পিরিয়ড দু’মাস অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ আজ বুক করলে বাইকের চাবি হাতে পেতে ৬০ দিন অপেক্ষা করতে হবে ক্রেতাদের।
Aprilia RS 457-এর ওয়েটিং পিরিয়ড বাড়ল
ভারতে Aprilia RS 457-এর ইন্ট্রোডাক্টরি মূল্য রাখা হয়েছিল ৪.১০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। সস্তায় পুষ্টিকর স্পোর্টস বাইক হওয়ায় ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা আশাতীত মাত্রায় পৌঁছায়। বুকিংয়ের পাহাড় জমতে শুরু করেছে। বিশ্ববাজারে রপ্তানি করতে এপ্রিলিয়া তাদের বরামতির কারখানাটিও ব্যবহার করছে। যে কারণে ওয়েটিং পিরিয়ড দু’মাসে এসে দাঁড়িয়েছে।
Aprilia RS 457-এর চাহিদার জোগান দিতে তিনটি শিফ্টে কাজ চালিয়ে দিনে ৫০টি মডেল তৈরি করতে শুরু করেছে কোম্পানি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওয়েটিং পিরিয়ড আরো কমিয়ে আনতে সমর্থ হবে বলে আশাবাদী এপ্রিলিয়া। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে ভালোই বিকোচ্ছে এই বাইক। তবে উত্তর ও পূর্ব ভারতে এচাহিদা তুলনামূলক কম। ভবিষ্যতে তাও বাড়তে পারে বলে মনে করছে এপ্রিলিয়া।
দুর্ধর্ষ ডিজাইন, ফিচার্স ও ইঞ্জিন থাকার পাশাপাশি Aprilia RS 457-এর হ্যান্ডলিং খুব সহজ। তাই বাইকপ্রেমীদৈর থেকে এটি ভালোবাসা পাচ্ছে। ৪৫৭ক্ষসিসি প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ৪৬.৯ বিএইচপি শক্তি এবং ৪৩.৫ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। ৬-স্পিড গিয়ারবক্স এবং অপশনাল হিসেবে কুইক শিফ্টার বর্তমান।
ভারতে উক্ত সেগমেন্টে যে সমস্ত বাইক বিদেশ থেকে আমদানি করে বিক্রি হয় সেগুলির দাম তুলনামূলক বেশি। এক্ষেত্রে Aprilia RS 457 প্রতিপক্ষদের তুলনায় বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। কারণ এই বাইক এ দেশের মাটিতেই উৎপাদন করা হয়। ফলে প্রতিযোগিতামূলক দাম রাখা সম্ভব হয়েছে। এই বাইকের প্রতিদ্বন্দ্বী Yamaha R3-এর দাম ৪.৬৪ লাখ, আবার Kawasaki Ninja 500-এর মূল্য ৫.২৪ লাখ টাকা।