Bharat NCAP Crash Test: যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র, দেশে গাড়ির নতুন ক্র্যাশ টেস্ট বিধি চালু হওয়ার পথে
গাড়ির কতটা সুরক্ষিত, তার প্রসঙ্গ উঠলেই নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম বা NCAP-এর নাম আগে শোনা যায়। দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে গাড়ি তার ভিতরে থাকা চালক ও যাত্রীরা সুরক্ষিত রাখতে কতটা কার্যকর, তা ওই বিচার করে এক থেকে পাঁচ (স্টার) পর্যন্ত রেটিং প্রদান করা হয়। এবার দেশেও আন্তর্জাতিক মাপকাঠি মেনে ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম, বা ভারত এনসিএপি (Bharat NCAP) চালু করার ব্যাপারে ভাবছে কেন্দ্র। তবে কবে চালু হবে সে বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট কোনও তথ্য নেই।
সম্প্রতি লোকসভায় নিতিন গডকড়ীকে বিরোধী দলের এক সাংসদ Bharat NCAP-র অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তার জবাবে গডকড়ী বলেন, “Bharat NCAP-র নিয়মকানুন সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আসলে ভারতে প্রতি বছর যে হারে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে একটি গাড়ির NCAP-র মানপত্র পাওয়া ভীষন জরুরী।”
গডকড়ী আরও বলেন, “সমগ্র বিশ্বে যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলিতে NCAP-র মান নির্ধারিত করা হয়েছে। এটি আমাদের দেশেও প্রয়োজন।” তাঁর কথায়, “ভারতে প্রতি বছর ৫ লক্ষ পথ দুর্ঘটনা ঘটে এবং এতে ১.৫০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। এই কারণে আমরা একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেমন গাড়িতে ৬টি এয়ার ব্যাগ অবশ্যই দিতে হবে। পথ দুর্ঘটনার কারণে সস্তার মডেলের গাড়িগুলিতেও এয়ারব্যাগ দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
যদিও ভারতে পথদুর্ঘটনা এড়াতে Bharat NCAP-র ক্র্যাশ টেস্ট বিধি কবে থেকে চালু হবে তা কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যেও অস্পষ্ট ছিল। তবে ক্র্যাশ টেস্টের নিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “Bharat NCAP গাড়ির কাঠামোর সুরক্ষা খতিয়ে দেখবে। এছাড়াও গাড়ির কাঠামোর দৃঢ়তা, গাড়িতে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু যাত্রীদের নিরাপত্তা, যাত্রীদের শরীরের নিম্নাংশ অর্থাৎ পায়ের সুরক্ষা (গাড়ির বনেট এবং বাম্পার ডিজাইন), নিরাপত্তা প্রযুক্তি, ৬টি এয়ারব্যাগ, ৩-পয়েন্ট সিট বেল্ট, ইএসপি, এবিএস সহ আরো অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা করা হবে।”