Seat Belt: সবাইকে বাঁধতে হবে সিটবেল্ট, না হলে জরিমানা, নড়েচড়ে বসছে কেন্দ্র
অবশেষে নড়েচড়ে বসলো কেন্দ্রীয় সরকার। গাড়ির পিছনের আসনে বসা যাত্রীদের সিট বেল্ট বাঁধা নিয়ে আরোও কঠোর পথে হাঁটতে চাইছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় মোটরযান বিধি অনুযায়ী শুধুমাত্র সামনের আসনে নয়, পিছনের সিটে বসা আরোহীদের ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক সিট বেল্ট। কিন্তু এই নিয়ে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকডী জানান আইনটি এবার থেকে আরও কঠোরভাবে বলবৎ করা হবে।
সম্প্রতি নামী শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। মার্সিডিজ বেঞ্জের বিলাসবহুল গাড়ির পিছনের আসনে সিট বেল্ট ছাড়াই বসেছিলেন তিনি। ফলস্বরপ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয় তাকে। আর এই মৃত্যুর জেরেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক অনুষ্ঠান থেকে গডকড়ী বলেন, "পূর্বে গাড়ির চালক ও তার পাশে বসা যাত্রীর ক্ষেত্রেই সিট বেল্ট না পরার অপরাধে জরিমানা ধার্য করার আইন চালু ছিল। কিন্তু আমরা এই আইন সংশোধন করে পিছনের সিটে বসা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও বলবৎ করতে চলেছি।"
তিনি আরো বলেন আগামী তিন দিনের মধ্যে সরকারের তরফে এই জরিমানা সংক্রান্ত অফিসিয়াল নোটিশ জনসম্মুখে আনা হবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে যাতে আগামীতে সমস্ত ধরনের গাড়িতে সিটবেল্ট না বাধার জন্য যাত্রীদের ওয়ার্নিং বেল শোনানো হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু গাড়িতে সামনের সিটের জন্য এই ধরনের ওয়ার্নিং সাউন্ড চালু আছে।
সাধারণভাবে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ গাড়ির চালক ও তার পাশে বসা যাত্রীর সিট বেল্ট বাধা না থাকলে জরিমানার ধার্য করে। পিছনে বসলে বেল্ট বাঁধার চল সেরকমভাবে নেই বললেই চলে। আরো অবাক করা বিষয় হলো বহু সংখ্যক গাড়ির মালিক জানেনই না যে তার গাড়ির পিছনের সিটগুলিতে আদৌ সিট বেল্ট লাগানো আছে কি নেই!
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের মোটরযান বিধির ১৩৮ (৩) ধারায় গাড়ির সমস্ত প্যাসেঞ্জারদের সিট বেল্ট না বাধার জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথা বলা আছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবহন দপ্তর থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০ সালে অন্তত ১৫,১৪৬ জন যাত্রীকে সিট বেল্ট না বাধার জন্য প্রাণ হারাতে হয়। আর ৩৯,১০২ জন যাত্রীকে আঘাত পেয়েছেন।