Hero Xoom 160: স্পোর্টস বাইকের আদলে স্কুটি! এ মাসেই বড় চমক আনতে পারে হিরো
ভারতের টু হুইলারের বাজার সরগরম করতে Hero Xoom 160 শীঘ্রই লঞ্চ হচ্ছে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন এটি এই মাস অর্থাৎ মার্চে ভারতের বাজারে হাজির হচ্ছে। যদিও হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)-এর তরফে এই প্রসঙ্গে এখনও কোন নিশ্চিত বার্তা এসে পৌঁছায়নি। এটি সংস্থার প্রথম ম্যাক্সি স্কুটার। লঞ্চের আগেই মডেলটির খুঁটিনাটি চলুন জেনে নেওয়া যাক।
Hero Xoom 160: স্টাইলিং
Xoom 160-এ অ্যাডভেঞ্চার স্টাইলিং ফুটিয়ে তুলেছে হিরো। ফ্রন্ট অ্যাপ্রনে দীর্ঘ উইন্ড স্ক্রিনের মাধ্যমে যা পরিস্ফুট হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সামনে একজোড়া এলইডি হেডলাইট। অ্যাডভেঞ্চার বাইকের মতো হেডলাইটের নিচে ছোট বিক-এর দেখা মিলেছে। লুকসের দিক থেকে Xoom 160 পুরোপুরি একটি ম্যাক্সি স্কুটার। এতে দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল স্পাইন। আবার দু'পাশের ডিজাইনেও ম্যাক্সি স্টাইলিং বর্তমান।
Hero Xoom 160: ফিচার্স
অনুমান করা হচ্ছে, Xoom 160, হিরোর ফ্ল্যাগশিপ মডেল হিসেবে আসবে। থাকবে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সমেত ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন। এছাড়া রয়েছে কিলেস ইগনিশন, সেন্ট্রাল স্পাইনের নিচে ফুয়েল ট্যাঙ্ক, এলইডি হেডলাইট এবং তেল লাইট।
Hero Xoom 160: হার্ডওয়্যার
আন্ডারবোন চ্যাসিসে ভর করে আসতে চলা Xoom 160-এ থাকছে টেলিস্কোপ ফ্রন্ট ফর্ক এবং টুইন শক রিয়ার অ্যাবজর্বার। ১৪ ইঞ্চি হুইলের সাথে থাকবে ব্লক প্যাটার্ন টায়ার। ব্রেকিংয়ের জন্য এবিএস সমেত সামনে ডিস্ক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক উপস্থিত। স্কুটারটির কার্ব ওয়েট ১৪১ কেজি।
Hero Xoom 160: ইঞ্জিন
হিরো একটি নতুন লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন তৈরি করেছে। এটি একটি ১৫৬ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার মোটর। যা থেকে ৮,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৪ বিএইচপি শক্তি এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৩.৭ এনএম টর্ক। এর সাথে সংযুক্ত সিভিটি ট্রান্সমিশন। ক্ষমতার দিক থেকে এটি Yamaha Aerox 155-এর তুলনায় পিছিয়ে।
Hero Xoom 160: লঞ্চ ও দাম
Hero Xoom 160 আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের বাজারে লঞ্চ হতে পারে। লঞ্চের পর এর দাম ১.৩ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) কাছাকাছি ধার্য করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর প্রতিপক্ষ হিসাবে বাজারে রয়েছে – Aprilia SXR 160, Yamaha Aerox 155 ও আসন্ন Yamaha Nmax 155।