জুটি বাঁধল বিখ্যাত দুই জাপানি ও কোরিয়ান সংস্থা, Honda ও LG Energy একসাথে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরির কারখানা গড়ে তুলবে
আন্তর্জাতিক স্তরে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নির্মাতা হিসাবে LG Energy Solution অন্যতম বড় এক সংস্থা। ভারতবর্ষ কিংবা তার বাইরের বিভিন্ন নামিদামি ইভি নির্মাতা তাদের গাড়িতে এই সংস্থার ব্যাটারি ব্যবহারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে নতুন পদক্ষেপ নিল জাপানের অন্যতম নামকরা গাড়ি নির্মাতা হোন্ডা মোটর (Honda Motor)। নিক্কেই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী আমেরিকায় বৈদ্যুতিক গাড়ির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি কারখানা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এলজি এনার্জির সাথে সাথে হাত মিলিয়েছে হোন্ডা।
দাবি করা হয়েছে, প্রস্তাবিত কারখানার জন্য দুটি সংস্থাই কয়েকশো বিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করতে চলেছে। আসলে আমেরিকার মতো দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন ব্যাটারি নির্মাতারা সমগ্র দেশজুড়ে এর চাহিদা মেটাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আমেরিকার সরকার আরো বেশি সংখ্যক ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক ভেহিকেল তৈরির জন্য নানাবিধ নীতি ঘোষণা করেছে। উপরন্তু, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সম্প্রতি ৪৩০ বিলিয়ন ডলারের এক জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও ট্যাক্স বিল স্বাক্ষরিত করেছেন যার ফলে উত্তর আমেরিকার বাইরে যে সমস্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি অ্যাসেম্বেল করা হবে সেগুলি কোনটিই "ট্যাক্স ক্রেডিটের" আওতায় পড়বে না।
অন্য দিকে, গত সপ্তাহেই ক্যালিফোর্নিয়া সরকার জানিয়েছে যে সেখানে আগামী ২০৩৫ সাল থেকে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক কিংবা ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়িই বিক্রয় করা হবে। ওহাইওতে হোন্ডার মূল কারখানা সংলগ্ন অঞ্চলেই জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ সংস্থা গঠন করে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, এলজি এনার্জি সলিউশন মূলত নেক্সট জেনারেশন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সরবরাহের কাজে যুক্ত। তারা ইতিমধ্যেই General Motors, Hyundai Motor Co এবং Stellantis এর সাথে চুক্তির মাধ্যমে একজোট হয়ে কাজ শুরু করেছে।
এছাড়াও, গত জুলাইতে আরো এক নামী ব্যাটারি নির্মাতা Panasonic Energy Co আমেরিকার কনসাস প্রদেশে নতুন ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট গড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই খাতে মোট ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে তারা। চলতি বছরের শুরুতেই হোন্ডা মোটর সারা বিশ্ব জুড়ে ৩০টি নতুন মডেলের ইলেকট্রিক ভেহিকেল লঞ্চের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এইরূপ ২০ লক্ষ গাড়ি উৎপাদন করা তাদের উদ্দেশ্য।