Foldable E-Cycle: দেখতে সাধারণ হলেও গুণ অসাধারণ, ইচ্ছামতো ভাঁজ হয় এই ইলেকট্রিক সাইকেল, বুকিং চলছে
সাইকেল একটি অতি সাধারণ দু’চাকার বাহন। যার উপর সওয়ার হয়ে ইচ্ছেমতো ভ্রমণ করা যায়। কেবল সিটে বসে হাতলে হাত রেখে প্যাডেলে পা দিয়ে চাপ দেওয়ার কেবল অপেক্ষা, রা’টি না কেটে এগোতে থাকে। কোনোরকম জ্বালানি খরচ ছাড়াই নির্মল বাতাস গায়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর এর চাইতে ভালো উপায় আর হয় না। সাইকেলের বৈশিষ্ট্য বলতে গেলে আমরা মোটামুটি এই বুঝি। এখন সাইকেলটি রাখার সময় আপনাকে যদি বলা হয়, জায়গার অভাব রয়েছে, সাইকেলটিকে ভাঁজ করে রাখুন। একথা শুনে হয়তো আপনি ‘আকাশ কুসুম’ কল্পনা করতে শুরু করবেন। হয়তো বা কথাটি যে বলেছে তাঁকে মানসিকভাবে অসুস্থও ভাবতে পারেন। অথবা হয়তো মুচকি হেসে বলবেন, এ আবার সম্ভব নাকি! এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি এখনকার ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় এর উত্তর হবে ‘হ্যাঁ সম্ভব’।
ভারতের বাজারে এমনই একটি ফোল্ডিং ইলেকট্রিক বাইসাইকেল লঞ্চ করে নজির গড়ল হায়দরাবাদের স্টার্টআপ সংস্থা কাচবো ডিজাইন (Kachbo Design)। ই-সাইকেলটির নামকরণ করা হয়েছে হর্নব্যাক (Hornback)। সংস্থার দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিতিশ প্রায়েখ এবং রাজকুমার কেওয়াট চমকপ্রদক বৈদ্যুতিক বাইসাইকেলটি লঞ্চ করেছেন। সাইকেলটি ভাঁজ করার পর তা এতটাই ছোট হয়ে যায়, যে সেটি যে কোনো গাড়ির ডিকি অথবা লিফটে করেও অনায়াসে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আবার ট্রলির মতো ঠেলে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে৷ অথচ এটি দেখতে কিন্তু একটি বাজার চলতি ব্যাটারিচালিত সাইকেলের মতোই।
আকর্ষণের বিষয় হল সাইকেলটি আবার ব্যাটারি সোয়াপিং প্রযুক্তি সহ এসেছে। কেউ যদি মনে করেন ব্যাটারির বদলে প্যাডেল করে সাইকেলটি চালাবেন, তবে তাও সম্ভব। সাধারণ সাইকেলের মতোই এর চাকা দু'টি বেশ বড়। সম্পূর্ণ চার্জে হর্নব্যাকের রেঞ্জ ৩০ কিমি এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৫ কিমি। রোড টেস্টে হর্নব্যাক মাত্র চার দিনে হায়দরাবাদ থেকে চেন্নাইতে পৌঁছেছিল। এদিকে সংস্থার তরফে এখনও এই ফোল্ডিং ই-বাইসাইকেলটির দাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে সে বিষয়ে কাচবো ডিজাইনের তরফে খুব শীঘ্রই ঘোষণা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে বুকিং করা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর থেকে ইলেকট্রিক সাইকেলটির গ্রাহকদের দেওয়া শুরু হবে। লঞ্চের সভাস্থল থেকে তেলেঙ্গানা আইটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান সচিব জয়েশ রঞ্জন কাচবো ডিজাইনের এই উদ্ভাবনের প্রশংসা করেন এবং তেলেঙ্গানার বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির আওতায় ইলেকট্রিক বাইসাইকেলকে নিয়ে আসার কথা বলেন। তিনি সংস্থাটিকে ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক সাইকেলটির উৎপাদন পুরোদমে শুরু করার বার্তা দেন।