গাড়ির সুরক্ষায় পুজোর আগেই নতুন নিয়ম, স্বাগত জানাল Maruti, Tata, Mahindra-রা
বিশ্বজুড়ে যাত্রীবাহী গাড়ির সুরক্ষা পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব পালন করে গ্লোবাল এনক্যাপ (Global NCAP)। এবারে ভারতেও এমন ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। একই বিধি মেনে এদেশে সকল প্যাসেঞ্জার গাড়ির সুরক্ষা মূল্যায়ন করবে ভারত এনক্যাপ (Bharat ENCAP)। যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে এদেশে কার্যকর হতে চলেছে। এতদিন গাড়ির সুরক্ষার মান যাচাইয়ের জন্য জিএনক্যাপ-এর উপর ভরসা করে থাকতে হতো। এবারে তার আর প্রয়োজন পড়বে না। এদেশেই হবে এই পরীক্ষা। একই মাপকাঠি মেনেই ক্র্যাশ টেস্ট নেওয়া হবে। ভারত এনক্যাপ লঞ্চের ঠিক আগে দেশের প্রথম সারির গাড়ি নির্মাতা যেমন Maruti Suzuki, Toyota Motor, Tata Motors, Mahindra and Mahindra, Skoda, Kia দেশীয় ক্র্যাশ টেস্টকে স্বাগত জানিয়েছে।
Bharat NCAP আগামী 1 অক্টোবর লঞ্চ হচ্ছে
ভারতে তৈরি হওয়া সমস্ত গাড়ির সুরক্ষার মান যাচাই করে দেখবে ভারত এনক্যাপ। তবে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এমনকি এদেশে তৈরি হওয়া গাড়ির জন্য এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। তারা যদি নিজেদের তৈরি করা মডেলের সেফটি বিচার করে দেখতে চান সেক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। এরপর পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে রেটিং প্রদান করবে বিএনক্যাপ।
অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড বা এআইএস ১৯৭ বিধি অনুযায়ী গাড়িগুলিকে রেটিং প্রদান করা হবে। ভারত এনক্যাপের আগমনকে টাটা-মাহিন্দ্রার মতো সর্বাধিক সুরক্ষিত গাড়ি প্রদানকারী সংস্থাগুলি সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মাহিন্দ্রার তরফে বলা হয়েছে, “আমরা মনে করি, এটি পরিবহণ দপ্তরের দৃঢ় পদক্ষেপ।” মারুতি সুজুকির তরফে বলা হয়েছে, “এই সুরক্ষা পরীক্ষার মাধ্যমে ক্রেতারা গাড়িটির সেফটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন।”
অন্যদিকে টয়োটার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমাদের বিশ্বাস ভারত এনক্যাপ-এর আগমন একটি সঠিক পদক্ষেপ। এর ফলে তাদের মধ্যে গাড়ির সুরক্ষা ফিচার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।” একই মত পোষণ করেছে কিয়া ও স্কোডা। প্রসঙ্গত, ভারত এনক্যাপ গাড়ির ক্র্যাশ টেস্ট পরীক্ষা করে এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত রেটিং প্রদান করবে। ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে সামনে, পেছনে ও দুই পাশে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দেখা হবে। তার ওপর ভিত্তি করে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু যাত্রীদের জন্য রেটিং প্রদান করবে সংস্থাটি।