ইতিহাস লিখল নরওয়ে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা পেট্রোলকে ছাড়িয়ে গেল
পরিবেশবান্ধব গাড়ির প্রতি ঝুঁকছে গোটা বিশ্ব কারণ একটাই, পেট্রোল-ডিজেল দহনের ফলে উৎপপ্ন কালো ধোঁয়ার পরিমাণ কমিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিকল্প জ্বালানির গাড়ি হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি (EV)। এই ধরনের গাড়ির ব্যবহারে এবার নতুন রেকর্ড গড়ল নরওয়ে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে নরওয়েতে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা পেট্রোল চালিত গাড়িকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। নরওয়ের রোড ফেডারেশনের রিপোর্ট বলছে, সে দেশে নথিভুক্ত থাকা ২৮ লক্ষ প্রাইভেট গাড়ির মধ্যে ব্যাটারি চালিত মডেল হল ৭,৫৪,৩৮৩টি। আর পেট্রল চালিত গাড়ির সংখ্যা ৭,৫৩,৯০৫টি। ডিজেল ভেহিকেলের সংখ্যা সর্বাধিক হলেও বিক্রি দ্রুতহারে কমছে।
নরওয়ে রোড ফেডারেশনের ডিরেক্টর অয়ভিন্ড সোলবার্গ এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এক দশক আগেই এমন মাইলস্টোনের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে নরওয়েতে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনকে ছাপিয়ে যেতে পারে। ২০২৬ সালের মধ্যে ডিজেল গাড়িকেও পিছনে ফেলতে পারে।
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ হলেও নরওয়ে ২০২৫ সালে বিক্রিত সমস্ত যানবাহনকে পরিবেশবান্ধব হওয়ার লক্ষ্য রেখেছে। হাইড্রোজেন গাড়ির বাজার নগণ্য হওয়ার কারণে এই লক্ষ্যটি ইভি নিয়েই বলে ধরে নেওয়া যায়। আগস্টে নরওয়েতে নথিভুক্ত হওয়া ৯৪,৩ শতাংশ গাড়িই ইলেকট্রিক।